‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবসায়ী ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রমকে সহজতর করার পাশাপাশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করতে সহায়তা করে। বিশ্ব বাণিজ্যে কারিগরি বাধা অপসারণেও অ্যাক্রেডিটেশনের গুরুত্ব অপরিসীম। ৯ জুন ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) কর্তৃক বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস ২০২৪’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, অ্যাক্রেডিটেশন একটি নিরপেক্ষ ও স্বীকৃত সাযুজ্য নিরূপণ ব্যবস্থা, যা একটি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ও গুণগতমান অবকাঠামোর প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতেও প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আসছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভোক্তার আস্থা বৃদ্ধি এবং উৎপাদক ভোক্তার সম্পর্ক শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্যে সুদৃঢ় অবস্থান নিশ্চিত করতে অ্যাক্রেডিটেশনের বিকল্প নেই। এ প্রেক্ষিতে দিবসটির এবছরের প্রতিপাদ্য- ‘অ্যাক্রেডিটেশন : এমপাওয়ারিং টুমরো অ্যান্ড শেপিং দ্য ফিউচার’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্ন পরীক্ষাগার, সনদপ্রদানকারী সংস্থা, পরিদর্শন সংস্থা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানকে অ্যাক্রেডিটেশন সেবা প্রদানের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ইতিবাচক অবদান রাখছে। বিএবি আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী অ্যাক্রেডিটেশন কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে সবার প্রত্যাশা।
রাষ্ট্রপতি ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত সব কার্যক্রমের সাফল্য কামনা করেছেন।
কেএ