বাজেট করা হয়েছে রাঘব বোয়ালদের লুটপাট বন্ধ করার জন্য : কাদের
বিএনপির লুটপাটের রাজত্ব থেকে শেখ হাসিনা দেশকে রক্ষা করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৯ জুন) বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত যৌথসভায় এ কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সাথে এই যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আমলে যে লুটপাটের রাজত্ব সৃষ্টি হয়েছিল, দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গিয়েছিল, তা থেকে দেশকে রক্ষা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটটা করা হয়েছে রাঘব বোয়ালদের লুটপাট বন্ধ করার জন্য। বিএনপি আমলে যে লুটপাটের রাজত্ব সৃষ্টি হয়েছিল তা থেকে দেশকে রক্ষা করেছেন শেখ হাসিনা। লুটপাট করে কেউ এখানে পার পাবে না।
নিজের লোককে শায়েস্তা করার সাহস বিএনপির নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বুয়েটে সনি হত্যার বিচার কে করেছে? আর আবরার হত্যায় যে কয়েকজন মৃত্যুদণ্ড পেয়েছে সবাই ছাত্রলীগ বলে পরিচিত। বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার কি হয়নি? তারা তাদের সময় তাদের দলীয় কোনো নেতার একটা বিচার করেছে? আশরাফুল হুদা, রকিবুল হুদা, এসপি কোহিনূর এদের বিচার কে করেছে?
সেতুমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতিবাজদের ধরতে নতুন করে আইন করার দরকার নেই। যে আইন আছে সেটা দিয়েই ধরা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমিও বলব- আধার দিয়েছি, রুই কাতলা ধরা পড়বে।
কালো টাকা সাদা করার সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কালো টাকা সাদা তো সাইফুর রহমান করেছেন, বেগম খালেদা জিয়াও করেছেন। বেগম জিয়া এখন বৃদ্ধ মানুষ। আমি বলতে চাই না, তারাও তাহলে দুর্বৃত্ত। এই বাজেট করা হয়েছে রাঘব বোয়ালদের লুটপাট বন্ধ করার জন্য। তিনি বলেন, বেনজীর, আজিজ সাহেবেরা দুর্নীতি করে কেউ ছাড় পাবেন না। তারা আওয়ামী লীগের লোক নন। একজন পুলিশ অফিসার আরেকজন সেনা অফিসার। কথা হচ্ছে দুর্নীতি করে কেউ ছাড় পেয়েছে কি?
যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, জেলা আওয়ামী লীগ এবং সকল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এএজি