Deshdeshantor24com: Bangla news portal

ঢাকা রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গোপনে দান করার ফজিলত

গোপনে দান করার ফজিলত
ছবি সংগৃহিত

দান প্রকাশ্যে ও গোপনে দুইভাবেই করা যায়। শুধু লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে দান করা যায় না। দান করার অসংখ্য ফজিলত আছে।

আল্লাহ তাআলা প্রকাশ্যে ও গোপনে দান করার ব্যাপারে বলেন, ‘যারা নিজের সম্পদ দিনে বা রাতে প্রকাশ্যে অথবা গোপনে আল্লাহর পথে খরচ করে তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই। তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা বাকারা ২৭৪)

তবে যে ব্যক্তি গোপনে দান করে তার দানকে উত্তম বলেছেন আল্লাহ তাআলা। তিনি বলেন, ‘তোমরা যদি প্রকাশ্যে দান করো ভালো। আর যদি গোপনে দান করো এবং অভাবগ্রস্তকে দাও তা তোমাদের জন্য আরও ভালো। (সুরা বাকারা ২৭১)

কোরআন ও হাদিসে গোপনে দান করার ব্যাপারে যেমন উৎসাহিত করা হয়েছে তেমনই গোপন দানের অনেক ফজিলত বলা হয়েছে। কেয়ামতের দিন যখন সূর্য মাথার উপরে নেমে আসবে, প্রত্যেকে তার পাপের সমপরিমাণ ঘামে ডুবে থাকবে তখন আল্লাহ তাআলা এমন ব্যক্তিকে আরশের নিচে ছায়া দিবেন যে ডান হাতে দান করলে তার বাম হাত সে দানের কথা জানতে পারে না। (বুখারি ৬৬০, মুসলিম ১০৩১)

কেউ যদি প্রকাশ্যে দান করে তাহলে কোনো সমস্যা নেই কিন্তু তা যদি হয় লোক দেখানোর জন্য তাহলে কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে কঠোর সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিনগণ, দানের কথা প্রচার করো না এবং কষ্ট দিয়ে (খোঁটা দিয়ে) তোমাদের দান ওই ব্যক্তির মতো ব্যর্থ করো না, যে নিজের ধন-সম্পদ কেবল লোক দেখানোর জন্যই ব্যয় করে..। (সুরা বাকারা ২৬৪)

মানুষকে দেখানোর জন্য দান করলে পরকালে এর জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘কেয়ামতের দিন মহান আল্লাহ বিচারকার্য পরিচালনার শুরুতেই তিন ব্যক্তিকে ডাকবেন। তাদের একজন হবে এমন দানবীর যে মানুষকে দেখানোর জন্য দান করেছিল।

তাকে দেয়া নেয়ামত (সম্পদ) সম্পর্কে অবহিত করা হলে সে তা স্বীকার করবে। তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে, এর জন্য তুমি কী আমল করেছ? সে বলবে, আমি আপনার সন্তুষ্টির জন্য আমি আপনার পছন্দনীয় সব রাস্তাতেই ব্যয় করেছি।

জবাবে আল্লাহ তাআলা বলবেন, তুমি মিথ্যা বলছো। বরং তুমি এজন্যই ব্যয় করেছ, যাতে তোমাকে দাতা বলা হয়। দুনিয়াতে তো তোমাকে তা বলা হয়েছে। এরপর তার সম্পর্কে আদেশ করা হবে, ফলে তাকে তার মুখের উপর (অধোমুখে) টেনে-হেঁচড়িয়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’ (তিরমিজি ২৩৮২)

পৃথিবীর বুকে ইসলাম এসেছে মানবতার কল্যাণের জন্য। সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, অন্যের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়াকে সবচেয়ে বড় ইবাদত বলে উল্লেখ করেছে ইসলাম। অন্যের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার মর্যাদা সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যারা নিজের সম্পদ দিনে বা রাতে প্রকাশ্যে অথবা গোপনে আল্লাহর পথে খরচ করে তাদের পুরস্কার প্রতিপালকের কাছে আছে। তাদের কোনো ভয় নেই। তাদের কোনো চিন্তাও নেই।’ (সুরা বাকারা ২৭৪)

রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিধবা, গরিব, অভাবী ও অসহায়কে সাহায্য করতে গিয়ে আল্লাহ তাআলার ইবাদতে সময় দিতে পারে না, সে রাত জেগে নফল নামাজ আদায় ও দিনভর রোজা রাখার সমান সওয়াব পাবে। (বুখারি)
এএজি

সর্বশেষ

নামাজের সময়সূচী

রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Masjid
ফজর ৪:৪১
জোহর ১২:০৭
আসর ৪:২৯
মাগরিব ৬:১৪
ইশা ৭:২৮
সূর্যোদয় ৫:৫৬
সূর্যাস্ত ৬:১৪