Deshdeshantor24com: Bangla news portal

ঢাকা রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যেসব কারণে এ বছর আমের দাম বেশি

যেসব কারণে এ বছর আমের দাম বেশি
ছবি সংগৃহিত

গত বছরের তুলনায় এবার জাতভেদে আমের দাম বেড়েছে। বাজার পাওয়া যাচ্ছে নানা ধরনের দেশীয় ফল। আর যেসব ফল এই মুহূর্তে চাহিদার শীর্ষে রয়েছে তার মধ্যে আম অন্যতম। তবে এ বছর বাংলাদেশের বাজারে আমের দাম তুলনামূলক কিছুটা বেশি লক্ষ্য করা গেছে। যা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে।

এ বছর ঢাকার বিভিন্ন বাজারে এক কেজি আম কিনতে হলে ১০০ থেকে ১২০ টাকা গুনতে হচ্ছে। আমের জাত ও আকারভেদে এই দাম আরও বেশি পড়ছে।

আমার দাম বেশি হওয়ার কারণ জানতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলা। গত সাত-আট বছর ধরে অনলাইনে আম বিক্রি করেন সাতক্ষীরার নুরুজ্জামান রিকো। তিনি জানান, গত বছর এক কেজি হিমসাগর আম ৮৫ টাকায় বিক্রি করলেও এ বছর বিক্রি করছেন ১৩৫ টাকা করে। আমের দাম বেশি হওয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন দেশের আম ব্যবসায়ী ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এর মধ্যে এ বছর আমের ফলন কম হওয়াকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন তারা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত বছর দুই লাখ হেক্টরের চেয়ে কিছুটা বেশি জমিতে শুধুমাত্র বাণিজ্যিকভাবেই মোট সাড়ে ২৭ লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছিল। তবে এ বছর সারাদেশে সব মিলিয়ে ২৫ থেকে ২৭ লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হতে পারে বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস।

কৃষি অধিদপ্তর বলছে, এ বছর আমের ফলন কম হওয়ার পেছনে মূল কারণ এটি “অফ ইয়ার”। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যে বছর আমের উৎপাদন ভালো হয় তার ঠিক পরের বছর আমের উৎপাদন তুলনামূলক খারাপ হয়। ভালো হলে সেটিকে “অন ইয়ার” বলে। এ বিষয়ে বাদল চন্দ্র বলেন, “এ বছর অফ ইয়ার। আগেও আমরা দেখেছি যে বছর বেশি ফলন হয়, পরের বছর কম হয়। সেজন্য সামাজিক ও পারিবারিক বাগানগুলোতেও এ সময় ম্যানেজমেন্ট কম করে।”

এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরার আম-চাষী আনিসুর রহমান বলেন, “একটা গাছে পরপর দুইবার ভালো ফলন হয় না। গত বছর ফলন ভালো ছিল, এবছর খারাপ হয়েছে। পরের বছর আবার ভালো হবেই।” এছাড়া, আমের কম উৎপাদনের পেছনে আরও দুটি কারণ হিসেবে উচ্চ তাপমাত্রা এবং কম বৃষ্টিপাতকে দায়ী করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি, মে মাসের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় “রিমাল”র কারণেও আমের ফলনে অনেকটা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা। এছাড়া, “হপার পোকা”র আক্রমণের কারণেও ফলন খারাপ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

যেহেতু আমের ফলনই কম হয়েছে, সেই কারণে এবার আমের দাম বাড়তির দিকেই থাকবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, যখন বাজারে কোনো পণ্যের চাহিদা উৎপাদনের চেয়ে বেশি থাকে, তখন স্বাভাবিকভাবেই ওই পণ্যের দাম বেড়ে যায়। আমের জন্য বিখ্যাত রাজশাহীর একাধিক আড়তদার জানান, এ বছর গোপালভোগ কিনতে তাদের মণপ্রতি খরচ হয়েছে ৩,২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫,০০০ টাকা।

বর্তমানে মণপ্রতি হিমসাগর বিক্রি হচ্ছে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা দরে। ল্যাংড়ার ক্ষেত্রে দাম পড়ছে সাড়ে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা।আম্রপালির দাম পড়ছে মণপ্রতি সাড়ে তিন হাজারের কাছাকাছি। ফজলি, লখনৌ কিংবা গুটি আমের দাম পড়ছে মণ প্রতি প্রায় দুই হাজার টাকা।
আড়তদারদের পর কয়েক দফায় হাতবদল হয়ে গ্রাহক পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছাতে আমের দাম ক্রমশ বাড়তে থাকে। সেক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত কত দামে আম বিক্রি হচ্ছে, তা তখনই নির্ধারিত হয় যখন আম পাইকারি বিক্রেতাদের হাতে এসে পৌঁছায়।
এএজি

সর্বশেষ

নামাজের সময়সূচী

রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Masjid
ফজর ৪:৪১
জোহর ১২:০৭
আসর ৪:২৯
মাগরিব ৬:১৪
ইশা ৭:২৮
সূর্যোদয় ৫:৫৬
সূর্যাস্ত ৬:১৪

আরও পড়ুন