না ফেরার দেশে হকির ‘ওস্তাদ ফজলু’
হাজি মো. ফজলুল ইসলাম, এ নামে তাকে খুব বেশি মানুষ চিনেন না। তাকে সবাই চেলেন ‘ওস্তাদ ফজলু’ নামে। হকিতে এ নামে পরিচিত তিনি। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে আটটায় নিজ বাসার বারান্দায় হঠাৎ পড়ে যান তিনি। এরপর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হকির অন্যতম সেরা তারকা রাসেল মাহমুদ জিমিসহ বহু খেলোয়াড় নাম লিখিয়েছেন তার হাত ধরে। তার মৃত্যুতে হকি অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। হকি কোচ আজিজুল্লাহ হায়দার জামাল বলেছেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে আরমানিটোলা সরকারি স্কুলমাঠ থেকে তাকে বাসায় দিয়ে এসেছিলাম। মনে হচ্ছিল, কী নিয়ে যেন দুশ্চিন্তা করছিলেন। আমি বারবার জানতে চেয়েছিলাম কী হয়েছে। বলেনি। ছোট থেকে আমরা এক সঙ্গে বড় হয়েছি, এক সঙ্গে খেলেছি। আজ সে চলে গেল।’
পুরোদস্তুর হকি অন্তঃপ্রাণ মানুষ ছিলেন তিনি। ১৯৮৪ সালে মালয়েশিয়ায় জুনিয়র বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে অনুশীলনে চোখে আঘাত পান। এতে তারকা হওয়ার স্বপ্নের মুত্যু ঘটলেও নেমে পড়েন খেলোয়াড় তৈরির সংগ্রামে।
দেশের হকির সুপারস্টার রফিকুল ইসলাম কালাম, মাকসুদ আলম হাবুল, রাসেল মাহমুদ জিমি থেকে হালের নাঈম-আরশাদরা উঠে এসেছেন তার হাত ধরেই। পুরান ঢাকার আরমানিটোলা হাইস্কুল প্রাঙ্গণে প্রতিদিন নিয়ম করে বাচ্চাদের হকি শেখাতেন ওস্তাদ ফজলু।
জাতীয় দলে কখনো খেলা না হলেও ঘরোয়া হকিতে ওস্তাদ ফজলু খেলেছেন ২০০৫ সাল পর্যন্ত। ১৯৭৭-৭৮ সালে প্রথম বিভাগ দিয়ে শুরু হয়েছিল তার যাত্রা।
কেএ