চীনের জালে জাপানের ‘সেভেন আপ’
২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে হেরে ছিল ব্রাজিল। সেই থেকে কোমল পানীয় ‘সেভেন আপ’ বলে বাংলাদেশের ব্রাজিল সমর্থকদের নিয়ে ট্রল করেন অন্য দলের ভক্তরা।
টোকিওর সাইতামা স্টেডিয়ামে ৫০ হাজার দর্শকের সামনে এবার চীনকে সেই ‘সেভেন আপ’র লজ্জা দিল জাপান। চীনা ফুটবলাররা একে একে হজম করে ৭ গোল। তবে কোনো গোল পরিশোধ করতে পারেন তারা।
২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে গ্রুপ-সি’র ম্যাচে মুখোমুখি হয় জাপান ও চীন। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে চীন। ম্যাচের ১২ মিনিটে লিভারপুল মিডফিল্ডার ওয়াতারো এন্ডোর গোলে এগিয়ে যায় জাপান।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সামুরাই ব্লুদের গোল ব্যবধান দ্বিগুন করেন ব্রাইটনের উইঙ্গার মিতোমা। যদিও চোটের কারণে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। চলতি বছর জানুয়ারির পর এবারই প্রথম জাতীয় দরের জার্সিতে নামেন মিতোমা।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল উৎসবে মাতে জাপান। ৫২ ও ৫৮ মিনিটে দুই গোল করেন মোনাাকোর ফুটবলার তাকুমি মিনামিনো। বদলি হিসেবে নেমে দলকে পঞ্চম গোল উপহার দেন ফরাসি ক্লাব রেইমসের খেলা উইঙ্গার জুনাইয়া ইতো। এর ১০ মিনিট পর দলের ষষ্ঠ গোলটি করেন দাইজেন মায়েদা।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে শেষ গোলটি করেন তাকেফুসা কুবো। এর আগে সতীর্থদের দিয়ে দুই গোল করেয়ে ছিলেন স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল সোসিয়েদাদের এ উইঙ্গার।
২০১৪ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জামার্নির কাছে ৭-১ গোলে হেরেছিল ব্রাজিল। সেই হারের পর সেলেসাওদের গায়ে ‘সেভেন আপ’ তকমা লাগে। এবার সেই লজ্জার তমকা লাগলো ২০০২ সালে সবশেষ বিশ্বকাপে খেলা চীনের গায়েও।
এর আগে আন্তর্জাতিক ফুটবলের চীনের সবচেয়ে বড় হার ব্রাজিলের বিপক্ষে ৮-০ গোলের। জাপানের কাছে ৭-০ গোলের হারের পর দুঃখ প্রকাশ করেন চীনের কোচ ব্র্যাঙ্কো ইভানকোবভিচ বলেন, এটি ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন রাত্
সিনহুয়া নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে ইভানকোভিচ বলেন, ‘জাপান শুধু এশিয়ার শক্তিশালী দলই নয়, বিশ্বমানের দলও। আমরা ম্যাচের প্রস্তুতিতে বিশেষভাবে সময় রক্ষণে মনোনিবেশ করেছিলাম। এরপর ম্যাচে অনেক বেশি গোল হজম করলাম। যা কিছুতেই হওয়া উচিত ছিল না।
এমন লজ্জাজনক হারের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফুটবলারদের সমালোচনায় মেতেছেন চীনা ফুটবল ভক্তরা।
কেএ