কঙ্গোতে পৌঁছালো মাংকিপক্স ভ্যাকসিনের প্রথম ব্যাচ
অবশেষে মাংকিপক্স ভাইরাসের ভ্যাকসিন পেলো প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সেখানে ভ্যাকসিন ডোজের প্রথম ব্যাচ পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই ভ্যাকসিন দেশে এর প্রাদুর্ভাব রোধে সাহায্য করবে। এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল জাতিসংঘ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই খবর জানিয়েছে।
প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল কঙ্গো থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এবং বিশ্বের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়েছে মাংকিপক্স। তবে আফ্রিকায় ভ্যাকসিনের অভাব কখনও কখনও মারাত্মক রোগের বিস্তার বন্ধের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
বিমানবন্দরে রয়টার্সের সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় দুপুর ১টা নাগাদ রাজধানী কিনশাসায় বাভারিয়ান নর্ডিকের তৈরি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনুদানে ডোজ বহনকারী একটি বিমান পৌঁছায়।
কঙ্গোর স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্যামুয়েল রজার কাম্বা মুলাম্বা সাংবাদিকদের বলেছেন, সদ্য আসা নতুন এই ভ্যাকসিন ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে এর কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে। এবার কঙ্গোর প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে এটি প্রয়োগ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি কোন প্রদেশগুলো ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। বিশেষ করে ইকুয়েটার এবং দক্ষিণ কিভু…এখন কাজ হলো যত দ্রুত সম্ভব ভাইরাসটি রোধ করা।’
ইইউ হেলথ ইমার্জেন্সি প্রিপারেডনেস অ্যান্ড রেসপন্স অথরিটি (এইইআরএ) এর প্রধান লরেন্ট মুশেল বলেছেন, প্রথম চালানে ৯৯ হাজার ডোজ এবং শনিবার আরও একটি চালান মিলিয়ে মোট ২ লাখ ডোজ পাঠানো হবে।
রয়টার্সকে মুশেল বলেছেন, সামগ্রিকভাবে ইউরোপের লক্ষ্য, এই অঞ্চলের ব্যাপকভাবে প্রভাবিত এলাকায় ৫ লাখ ৬৬ হাজার ডোজ সরবরাহ করা। এসময় তিনি আরও বলেন, ‘কেসের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী যে দেশে যোজ পাঠানো হবে তা হলো বুরুন্ডি। অবশ্য দেশটির চিকিৎসা সংস্থাকে অবশ্যই এটিকে অনুমোদন দিতে হবে।’
এএজি