ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা না জানানোর অনুরোধ জাবি উপাচার্যের
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়ে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে বারণ করেছেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। বরং ফুল কেনার অর্থ শহীদ পরিবারকে দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন জাবির নতুন উপাচার্য।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা থেকে প্রেরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে উপাচার্য হিসেবে সাময়িক এ দায়িত্ব দেয়া হয়৷
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, উপাচার্য হিসেবে আমার উপর আস্থা রাখায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। একটা বিষয় আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রাণের কিছু দাবি ছিল। শহীদরা যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য রক্ত দিয়েছেন, সে স্বপ্ন আমাদের বিনির্মাণ করতে হবে। দায়িত্ব পালনকালে আমি তাদের অবদানের কথা স্মরণ রাখবো। শিক্ষার্থী ও সহকর্মীদের প্রতি অনুরোধ, আমার দ্বারা কোনো ভুল কাজ হলে আপনারা ধরিয়ে দিবেন, যৌক্তিক সমালোচনা করবেন।
ব্যক্তি ধরে নয়, নীতি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ করতে চান বলে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত এই উপাচার্য। গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমার নীতি হচ্ছে যেটা ন্যায্য সেটা আমার বাবা যদি হয় কিচ্ছু আসে যায় না। যেটা উচিত সেটা করতে হবে। এজন্যই সবাই আমার ওপর আস্থা রেখেছে। কাউকে অন্যায্য সুবিধা দেবনা এবং বিন্দুমাত্র অন্যায্য আচরণ হতে দেব না। এজায়গায় সকলকে পাশে চাই।
প্রসঙ্গত, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান তিনি শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের জাবি শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি আন্দোলন-সংগ্রামে শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে সুনাম ও আস্থা কুড়িয়েছেন। রাজনীতির পাশাপাশি অ্যাকাডেমিক ও টকশো ব্যক্তিত্ব হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে। তিনি বাংলাদেশ ফিলোসফিক্যাল সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক, জাবি শিক্ষক সমিতির সম্পাদকসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া বিশ্বদ্যিালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেট, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, হল প্রাধ্যক্ষসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন।
এএজি