বীজের চড়া দামে, পেঁয়াজ-রসুন আবাদে খরচ বাড়ছে
অতিবৃষ্টির কারণে আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ পিছিয়ে গেছে। দেরিতে পেঁয়াজ রোপণ করায় কাঙ্ক্ষিত ফলন ও বাজার দামে শঙ্কিত জেলার চাষিরা।
কৃষি বিভাগ বলছেন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কৃষকের পাশে আছে কৃষি বিভাগ। পেঁয়াজ উৎপাদনে সারা দেশের মধ্যে তৃতীয় রাজবাড়ী। জেলার প্রায় ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়। চলতি মৌসুমে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে শুরু হয়েছে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ। এ মৌসুমে জেলায় প্রায় ৮১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপন্ন হবে।
ইতোমধ্যে যারা অল্প কিছু জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ করেছেন তারাও পড়েছেন বিপাকে। অতিবৃষ্টির কারণে অনেক পেঁয়াজের খেত নষ্ট হয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে পচন রোগ।
তবে বীজের অস্বাভাবিক দাম ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের জন্য কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান চর দৌলতদিয়া গ্রামের কৃষক মতিয়ার রহমান। তিনি বলেন, শুধু বীজে যদি এত টাকা লাগে, তাহলে রাসায়নিক সার, কীটনাশক, ওষুধ, সেচ, কৃষি শ্রমিকসহ অন্য খরচ জোগানো অনেকের সাধ্যের বাইরে চলে যায়।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল আলম বলেন, বীজসহ সব ধরনের পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বাজার তদারকি করা হচ্ছে। কেউ যদি যৌক্তিক মূল্যের চেয়ে বেশি নেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক ডা. মো. শহিদুল ইসলাম জানান, মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ প্রায় এক মাস দেরিতে শুরু হচ্ছে তবে উৎপাদনে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে দাবি কৃষি বিভাগের। কৃষি বিভাগ পেঁয়াজে ফলন ভাল করার জন্য নির্ধারিত ২৪টি প্লটে সার ও বীজ সহায়তা দিয়েছে।
এ বছর রাজবাড়ী জেলার ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজ রোপণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আগামী ২ মাসে কোনো বৃষ্টি না হলে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হবে। প্রকৃতির কাছে সেই আশাই কৃষকদের।
এএজি