জবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে

ভিডিও ধারণের সন্দেহে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. রায়হান হোসেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফিন্যান্স বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী মো. জিহান।
আজ ১ জানুয়ারি (বুধবার) বিকেল তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর) ভবনের নিচে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগে ভুক্তভোগী জিহান জানান, "আমি আমার এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছিলাম। পাশেই রায়হান ও তার কয়েকজন সঙ্গীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলছিল। আমার হাতে ফোন ছিল এবং হয়তো ক্যামেরাটি তাদের দিকে ছিল, যা আমার জানা নেই। এ সন্দেহে তারা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে এবং ফোনটি ছিনিয়ে নেয়। এরপর রায়হান আমাকে চড়-থাপ্পড় ও লাথি মারে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। আমি তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমার পরিচয় জানাই এবং ফোনের গ্যালারি চেক করতে বলি, কিন্তু তারা তা আমলে নেয়নি। আমার সাথে এমনটা ঘটবে ভাবিনি। আমি নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই।"
অভিযুক্ত রায়হান বলেন, "আমাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলছিল। তখন আমাদের মনে হয় জিহান তার ফোনে ভিডিও করছে। তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে ভিডিও করেনি বলে জানায়। এরপর কথার মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। প্রথমে তাকে বহিরাগত ভেবেছিলাম।"
থাপ্পড় ও লাথি মারার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রায়হান স্পষ্ট কোনো জবাব দেননি এবং প্রসঙ্গ পাল্টে দেন।
এ বিষয়ে জানতে জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. হিমেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে কল করে এবং হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দিয়ে পাওয়া যায়নি।
তবে জবি ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, "ঘটনাটি আমি আপনার মাধ্যমে জানলাম। এমন কিছু ঘটে থাকলে আমরা কেন্দ্রীয় নেতাদের জানাব এবং তারা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। আমি কোনো ধরনের সহিংসতাকে সমর্থন করি না।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তাজাম্মুল হক বলেন, "বিকেল সাড়ে তিনটায় শিক্ষা ও গবেষণা অনুষদের একজন শিক্ষক আমাকে ঘটনাটি জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।"
টিএ