টাইটানিকের পরিণতি: দুর্ঘটনা নাকি নিয়তি
১৯১২ সালে টাইটানিক ডুবে যাওয়ার সত্য কাহিনি অবলম্বনে জেমস ক্যামেরনের পরিচালনায় তৈরি হয় ‘টাইটানিক’ সিনেমা। টাইটানিকের গল্প আমরা সবাই জানি।
আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে টাইটানিক ডুবে যাওয়ার ১৪ বছর আগে অর্থাৎ ১৮৯৮ সালে মরগান রবার্টসন নামে একজন ফিকশন রাইটার ‘রেক অফ দি টাইটান’ নামে একটি গল্প লেখেন। সেই গল্পে ‘টাইটান’ নামের একটি জাহাজের বিবরণ দেন তিনি। মরগানের গল্পে টাইটান ছিল সেই সময়কার বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তর এবং প্রকৃষ্ট কারুশিল্পে তৈরি জাহাজ।
রহস্যময় ঘটনা হলো এপ্রিলে প্রথম সমুদ্রযাত্রার সময় একটি আইসবার্গে আঘাত করার পরে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায় টাইটান। টাইটানিক ডুবে যাওয়ার ১৪ বছর আগের মরগান রবার্টসনের লেখা গল্প এটি। ঘটনা এতটুকু কাকতালীয় হলেও পারত কিন্তু টাইটানিকের আরও কিছু ঘটনা পুরো ব্যাপারটাকে রহস্যময় করে তুলেছে। উপন্যাসে বলা হয় টাইটানে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ব্যাপক প্রাণহানি হয় পর্যাপ্ত পরিমাণে লাইফবোট না থাকার কারণে। টাইটানিকের ক্ষেত্রেও তাই ঘটে। দুর্ঘটনা ঘটার সময় নিরাপদে স্থানত্যাগের জন্য লাইফবোটগুলো প্রস্তুত থাকলেও বোটে ধারণ ক্ষমতার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ যাত্রী নিয়েই জাহাজ ট্যাগ করে বোটগুলো। ‘দি রেক অফ টাইটান’ এর বিপর্যয় এবং টাইটানিক উভয় এপ্রিল মাসে ডোবে। শুধু তাই নয়, টাইটানিক আইসবার্গের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের সময় যে গতিতে চলছিল ঠিক একই গতিতে চলছিল টাইটান-২৫ নট। মরগান রবার্টসনের বইটি টাইটানিক বিপর্যয়ের ১৪ বছর আগে প্রকাশিত হলেও বিষয়টি এমন নয় যে তিনি ভবিষ্যতের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তবে তার কাল্পনিক টাইটান এবং বাস্তব টাইটানিকের মধ্যে মিলগুলো এতটাই অস্বাভাবিক যা মানুষকে রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে।
এমআইপি