Deshdeshantor24com: Bangla news portal

ঢাকা রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

ইউক্রেনকে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

ইউক্রেনকে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনকে গোপনে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যে অন্তত একবার সেটি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন করে। এর অংশ হিসেবে এই ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া হয়। চলতি মাসে সেগুলো ইউক্রেনে পৌঁছে। এরপরই সেটি ব্যবহার করে রাশিয়ার সামরিক স্থাপনায় অন্তত একবার হামলা করা হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে ইউক্রেন যে হামলা করেছিল সেখানে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

এবার বাইডেন ইউক্রেনকে ৬১ বিলিয়ন ডলারের নতুন সহায়তা দিচ্ছেন। এসবও উন্নত অস্ত্র কেনায় ব্যয় করা হবে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে মধ্যপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছিল। সে সময়ই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া হতে পারে বলেও গুঞ্জন ওঠে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরে আঘাত হানতে পারে। তছনছ করে দিতে পারে শত্রুপক্ষের ঘাঁটি।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, রাষ্ট্রপতির সরাসরি নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে। তখন সেটি ইউক্রেনের অনুরোধে অপারেশনাল নিরাপত্তা বজায় রাখার স্বার্থে সেটি গোপন রাখা হয়।’

এ বিষয়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেন, ইতিমধ্যে কতগুলো অস্ত্র পাঠানো হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে ওয়াশিংটন আরও পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে।

যুদ্ধের শুরু থেকে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধে মার্কিন অস্ত্র ধ্বংস হওয়ার বিষয়টি একটি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আমেরিকানদের জন্য। রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাত শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ইউক্রেনের মোট ৭৯৮টি ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে। এসব ট্যাংকের বেশিরভাগই আমেরিকা ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে দান করেছিল।

এই প্রসঙ্গে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, সামরিক বিশেষ অভিযানের সময় আমেরিকার তৈরি ট্যাংকগুলোর বেশিরভাগই রুশ ড্রোনের মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তু করা হয় এবং ধ্বংস করা হয়। এটিকে ক্রেমলিনের অন্যতম সাফল্যই বলা যেতে পারে।

এবার দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেন যুদ্ধের মোড় বদলে দিতে পারে। এতে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের বৈরী ভাব আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 
কেএ