Deshdeshantor24com: Bangla news portal

ঢাকা সোমবার, ২০ মে ২০২৪

ক্যাম্পাস নিউজ

জাবিতে নবীন শিক্ষার্থীদের প্রবেশিকা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

জাবিতে নবীন শিক্ষার্থীদের প্রবেশিকা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত
ফাইল ফটো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২২—২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির নবীন শিক্ষার্থীদের প্রবেশিকা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকাল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, এমপি। 

অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন। এতে বিভিন্ন অনুষদের প্রায় দুই হাজার নবীন শিক্ষার্থী অংশ নেন। অনুষ্ঠানে বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. আবু হাসান নবীন শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ অনুষদের ডিনদের কাছে পাঠক্রম সম্পাদনের জন্য উপস্থাপন করেন এবং সংশ্লিষ্ট ডিনরা শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেন। নবীন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী রাজিব তালুকদার ও অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আনিকা বুশরা। সবশেষে, নবীন শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করান উপাচার্য ড. অধ্যাপক নুরুল আলম।

শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের অতিরিক্ত পরিচালক ড. আফসানা হকের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আলমগীর কবির শিক্ষার্থীদের ছাত্রশৃঙ্খলা বিধি মেনে চলার আ‎হ্বান জানান। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন উপ— উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোস্তফা ফিরোজ, শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয় তার অভূতপূর্ব সাফল্যের কারণে এশিয়ার বিশ^বিদ্যালয়গুলোর র‌্যাংকিংয়ে স্থান করে নিয়েছে। এ বিশ^বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে নিজেদের মেধা ও মননকে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনিমার্ণে এগিয়ে আসতে হবে। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কারণে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সবজায়গায় পৌছে গেছে। আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণে তরুণ প্রজন্মকে ভূমিকা পালন করবে। 

প্রবেশিকা বক্তার বক্তব্যে বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা নিজ যোগ্যতায় ভর্তি হয়েছো। মানুষ কখনো জন্মগতভাবে মানুষ হয়ে উঠে না। তাকে জন্মের পর মানুষ হয়ে উঠতে হয়। তোমার আনন্দ যদি অন্যকে আনন্দ ও দুঃখ যদি অপরকে স্পর্শ করে তাহলে তুমি সার্থক। এখন তোমাদের দেশমাতৃকাকে কিছু দেয়ার পালা। দেশে বর্তমান বেকারের সংখ্যা ২৫ লাখ। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষার পাশাপাশি অন্যান্য ভাষায় দক্ষতা ও প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হয়ে উঠার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুম সংস্কৃতির অবসান হয়েছে। আমি আশাবাদী শিক্ষা সমাপন শেষে শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল ছেড়ে দিবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত এ ক্যাম্পাসের শিক্ষা—গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ অব্যাহত রাখার জন্য সকলকে আন্তরিক ভূমিকা পালন করতে হবে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবেলায় তথ্য—প্রযু্ক্তিগত সাফল্য অর্জন করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান তিনি। 
টিএ