ফিলিস্তিনের সদস্যপদ ইস্যুতে জাতিসংঘে ভোট আজ
জাতিসংঘের সদস্য হওয়া নিয়ে ফিলিস্তিনের প্রস্তাবে আবারও ভোট হতে যাচ্ছে। আজ শুক্রবার (১০ মে) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এই ভোট হবে। এসময় ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘে যোগদানের যোগ্য বলে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
গত মাসে ১৫ সদস্যের জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর পরই সেই আবেদন নবায়ন করে পুনরায় জমা দেয় ফিলিস্তিনিরা। সেই প্রস্তাবেই ভোট আজ। এই পদক্ষেপে সফল হলে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পাবে ফিলিস্তিন।
১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদে অনুষ্ঠিতব্য এই ভোট ফিলিস্তিনিদের সমর্থনের বৈশ্বিক সমীক্ষা হিসেবে কাজ করবে। জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার জন্য একটি আবেদন প্রথমে নিরাপত্তা পরিষদ এবং পরে সাধারণ পরিষদে অনুমোদিত হতে হয়।
যদিও সাধারণ পরিষদ একাই জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদের অনুমোদন দিতে পারে না। তবে খসড়া প্রস্তাবটিতে শুক্রবার ভোট হওয়ার পর, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কিছু অতিরিক্ত অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে ফিলিস্তিনিরা। উদাহরণসরূপ, অ্যাসেম্বলি হলে জাতিসংঘের সদস্যদের মধ্যে একটি আসন পাবে ফিলিস্তিন। তবে ভোট প্রয়োগের কোনও ক্ষমতা পাবে না।
কূটনীতিকরা বলেছেন, খসড়াটি পাস করানোর জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মধ্যকার যুদ্ধের সাত মাস পেরিয়ে গেছে। এরমধ্যে অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি বাড়িয়েই চলছে ইসরায়েল, যেটিকে বেআইনি বলে মনে করে জাতিসংঘ। তাই জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যতা পেতে বারবার চাপ দিচ্ছে ফিলিস্তিন।
বর্তমানে জাতিসংঘের সদস্য নয় এমন একটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র ফিলিস্তিনি। ২০১২ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের পাস হওয়া দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান চুক্তির আওতায় এই স্বীকৃতি পায় দেশটি।
এএজি