কোটা নিয়ে ভারতের আদালতে ঐতিহাসিক রায়
সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং চাকরিতে তফসিলি জাতি-জনজাতিদের (এসসি-এসটি) মধ্যে একাংশকে চিহ্নিত করে আলাদা করে কোটা সুযোগ দেয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকারের।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, উপশ্রেণি চিহ্নিতকরণের বিষয়টি ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লিখিত সমতার নীতি লঙ্ঘন করছে না। তবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রায়ের ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছায়নি।
২০০৫ সালে শীর্ষ আদালত এক রায়ে বলেছিল, ‘তফসিলি জাতি-জনজাতির মধ্যে শ্রেণি বিভাজনের এখতিয়ার কোনো রাজ্য সরকারের নেই।’ কিন্তু বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সেই রায় খারিজ করে দিয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও এসসি-এসটিদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে পিছিয়েপড়া অংশকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করে বিশেষ কোটা সুবিধা দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, তফসিলি জাতি-জনজাতি এমনকি, ওবিসিদের মধ্যে ‘অতি পিছিয়েপড়া অংশ’কে চিহ্নিত করে তাদের জন্য এসসি-এসটি কোটার মধ্যেই পৃথক কোটার ব্যবস্থা চালু রয়েছে কয়েকটি রাজ্যে।
বিহারে দেড় দশকেরও বেশি সময় আগে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সরকার ওবিসি এবং দলিতদের (এসসি) মধ্যে তুলনামূলকভাবে বেশি পিছিয়েপড়া অংশকে ‘অতি অনগ্রসর’ এবং ‘মহাদলিত’ হিসেবে চিহ্নিত করে পৃথক কোটা সুবিধার ব্যবস্থা করেছিল।
এএজি