প্রতিবন্ধীর ৩ লক্ষ্য টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আব্দুল হক এর বিরুদ্ধে
ভোলা ডিসি অফিসের অফিস সহকারী পদে চাকুরী দেওয়ার নাম করে শারীরিক প্রতিবন্ধী হাবিবুর রহমান পান্না'র কাছ থেকে ৩ লক্ষ্য টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ভোলা ডিসি অফিসের অফিস সহকারী আব্দুল হক ওরফে ডিসি কালু এর বিরুদ্ধে।
শারীরিক প্রতিবন্ধী হাবিবুর রহমান পান্না ভোলা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভোলা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের আবহাওয়া অফিস রোড়ের বাসিন্দা শারীরিক প্রতিবন্ধী হাবিবুর রহমান পান্ন'র কাছ থেকে বাস্তা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চাচড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত আবদুল আলী এর ছেলে ভোলা ডিসি অফিসের অফিস সহকারী অভিযুক্ত আব্দুল হক ওরফে ডিসি কালু জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত থাকায় বিভিন্ন সময় পান্নার সংস্থার প্রতিবন্ধী সদস্যদের ডিসি অফিসে অফিস সহায়ক পদে চাকুরী দিবে বলে আশ্বাস প্রদান করে।
আব্দুল হক তাহার পূর্ব পরিচিত হওয়ায় পান্না আব্দুল হক এর প্রস্তাবে রাজি হয়। বিবাদী আব্দুল হক তাহাকে জানায় অফিস সহায়ক পদে চাকুরী নিতে হইলে দুইজন সদস্যকে বিভিন্ন টেবিল খরচ বাবদ ৩,০০,০০০/-(তিন লক্ষ) টাকার মত খরচ হবে। বিগত ২০/০৬/২০২০ ইং তারিখে হাবিবুর রহমান পান্না সংস্থার দুইজন সদস্যকে চাকুরী দেওয়া বাবদ নগদ ১,০০,০০০/-(এক লক্ষ) টাকা ও বিভিন্ন সময় এবং বিভিন্ন তারিখে টালি খাতার মাধ্যমে সম্পর্ন ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা প্রদান করে। প্রতারক আব্দুল হক প্রতিবন্ধী পান্নার টাকার জামানত স্বরুপ তাহার স্বাক্ষরিত ১০০/-টাকা মূল্যমানের ৩টি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প, এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ও ছবি প্রদান করে।
বিবাদী আব্দুল হক এর সাথে ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান পান্নার কথা থাকে যে, দুইজন সদস্যের চাকুরী দিতে আব্দুল হক ব্যর্থ হইলে তার টাকা তাহাকে ফেরত দিতে বাধ্য থাকিবে। ২০২০ সালের জুলাই মাসে ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী পদে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় পান্না আব্দুল হক এর কাছে তার প্রদানকৃত ৩ লক্ষ্য টাকা ফেরৎ দিতে বললে আব্দুল হক আজ কাল করে টাকা গুরাতে থাকে। একই ভাবে দীর্ঘদিন যাবত টাকা পরিশোধ করবে বলে কাল ক্ষেপন করিয়া ঘুরাইতে থাকে।
ইতিপূর্বে উক্ত বিষয়টি পান্না স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদেরকে জানাইলে তাহারা অভিযুক্ত আব্দুল হক কে নিয়া বসার চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হয়। বিবাদী আব্দুল হক আজ অদ্যবধি তাহার পাওনা টাকা পরিশোধ করিতেছে না। সম্ভাব্য সকল পদ্ধতিতে পান্না তার পাওনা টাকা আদায় করিতে ব্যর্থ হয়। এমত অবস্থায় শারীরিক প্রতিবন্ধী হাবিবুর রহমান পান্না তাহার পাওনাকৃত টাকা ফেরৎ পাইতে জেলা প্রশাসক ভোলার সুদৃষ্টি দিয়ে সু-ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য জেলা প্রশাসক ভোলা এর দৃষ্টি কামনা করেন।
প্রতারক আব্দুল হকের বিষয়ে তথ্য নিয়ে জানা যায় যে, তিনি দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি ও ডেইলি কান্ট্রি টুডে এর ভোলা প্রতিনিধি সাংবাদিক আশিকুর রহমান শান্তর কাছ থেকে ব্যবসার কথা বলে এক লক্ষ টাকা নিয়ে আজ পর্যন্ত তা ফেরত দেয়নি। এছাড়াও ভেদুরিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ সেলিমের ছেলেকে বিমানবন্দরে চাকরি দিবে বলে তার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন।
প্রতারক আব্দুল হক এ ছাড়াও সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশত বাসিন্দা থেকে ডিসি অফিস ও জেলা প্রশাসক এর নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের চাকরি দেবে বলে প্রায় কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করে এখন বিভিন্ন গোপন স্থানে আত্মগোপনে থেকে পাওনাদারদের বিভিন্নভাবে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এতে পাওনাদাররা এ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
এএজি