ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী মিশনে যোগদানের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলো চীন

ইউরোপের নেতৃত্বে ইউক্রেনে সম্ভাব্য শান্তিরক্ষা মিশনে চীনের যোগদানের খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে বেইজিং।
সোমবার (২৪ মার্চ) সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুয়ো জিয়াকুন এ কথা বলেন।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জিয়াকুন বলেছেন, ইউক্রেন সংকট নিয়ে চীনের অবস্থান সবসময়ই স্পষ্ট ছিল। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, ইউক্রেনের সম্ভাব্য শান্তিরক্ষা মিশনের বিষয়ে চীনকে নিয়ে যেসব কথা ছড়ানো হচ্ছে, তার সবই অসত্য।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধে প্রথম থেকেই নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকার দাবি করে আসছে চীন। তবে অন্যদিকে ঠিকই মস্কোর সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছে বেইজিং। এছাড়া, যুদ্ধচলাকালীন সময়ে বডি আর্মার বা ড্রোনের মতো দ্বৈত-ব্যবহারযোগ্য সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে।
জার্মান সংবাদমাধ্যম ওয়েল্টে শনিবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের কারণে ইউক্রেন সংকট নিয়ে চীনের নাম জড়িয়ে পড়ে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্রাসেলসের কূটনৈতিক ব্যক্তির বরাতে ওই খবরে দাবি করা হয়, ইউরোপীয় নেতাদের বিশ্বাস, চীন তাদের সঙ্গে যোগ দিলে ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিমরাজি হতেও পারেন।
সামরিক জোট ন্যাটো সদস্যভুক্ত কোনও দেশের সেনা ইউক্রেনে মোতায়েনে পুতিন যে ঘোর বিরোধী, সেটা একাধিকবার তিনি স্পষ্টভাষায় বলে দিয়েছেন। এজন্যই সংশ্লিষ্ট ইউরোপীয় নেতাদের ধারণা, রাশিয়ার অন্যতম মিত্র চীন শান্তিরক্ষা পরিকল্পনায় যোগ দিলে প্রচেষ্টা সফল হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেতে পারে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব নিয়ে বেশি তোড়জোড় করছে ব্রিটেন ও ফ্রান্স। যুদ্ধ পরবর্তী ইউক্রেনে শান্তি বজায় রাখার জন্য এই পরিকল্পনায় যোগদানে ইচ্ছুক ইউরোপীয় রাষ্ট্রের সমন্বয়ে একটি ‘আগ্রহীদের জোট’ গঠনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো। এই জোটে কানাডা ও তুরস্ককেও যোগদানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এএজি