আক্কেলপুরে ঈদ ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে দর্জিপাড়ায়

ঈদকে সামনে রেখে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে কর্মব্যস্ত সময় কাটছে দর্জিপাড়ায়। আপন মনে চলছে সুই, সুতা আর কাঁচির কাজ। ক্রেতাদের পছন্দের পোশাকটি তৈরি করতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঘুরছে সেলাই মেশিন। মনের মতো ডিজাইনে পোশাক তৈরি করতে দর্জিদের কাছে ভিড় করছেন নারীরা সেলোয়ার কামিজের পাশাপাশি পছন্দের পোশাক তৈরিতে নারীরা এগিয়ে থাকলেও পুরুষেরাও বানাচ্ছেন পাঞ্জাবি, প্যান্ট ও শার্ট।
ইতিমধ্যে কাজের চাপে অনেক দোকানে বন্ধ হয়ে গেছে নতুন করে অর্ডার নেয়া। ঈদকে ঘিরে আক্কেলপুরে প্রায় ১ কোটি টাকা লেনদেনের আশা করছেন এ উপজেলার ব্যবসায়ীরা।
পৌর শহরের স্টেশন এলাকায় বিভিন্ন দর্জির দোকানে গিয়ে দেখা যায়, কেউ গজ-ফিতায় নিখুঁত মাপে কাটছেন কাপড়। কেউ বা কেটে টুকরা করে রাখা কাপড় মেশিনে সেলাই করে রূপ দিচ্ছেন পোশাকে।
রাসেল নামে একজন দর্জি বলেন, সারা বছরের থেকে রমজান টেইলার্সে কাজের চাপ থাকে বেশি। সময় মত কাপড় তৈরি করে কাস্টমারকে দিবার জন্য আমাদের দিন রাত সমান করে কাজ করতে হচ্ছে।
আক্কেলপুর রেলগেট এলাকার ফ্যাশন টেইলার্সের মালিক কামাল হোসেন বলেন, ঈদে সবচেয়ে বেশি কাজ হয়। রমজানের শুরু থেকেই কাজের চাপ বেড়েছে। নির্ধারিত সময়ে পোশাক তৈরি করতে সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করা লাগছে। বিভিন্ন দোকানে কারিগররা ওভার টাইম করছে। কাজের ওপর ভিত্তি করে তাদের মজুরিও বেশি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ঈদে শার্ট, প্যান্ট ও পাঞ্জাবি তৈরিতে খরচ পড়ছে ৩০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত।
এএজি