আউটসোর্সিং কর্মীদের কর্মবিরতিতে অচল খুলনার ৯ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

খুলনার ৯টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটসোর্সিং কর্মচারীদের আন্দোলন ও কর্মবিরতিতে কার্যত স্বাস্থ্যসেবা অচল হয়ে পড়েছে। এতে চিকিৎসা নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুলনার সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজা খানম গত ২৯ জুলাই এক চিঠিতে জানিয়েছেন, আউটসোর্সিং কর্মচারীরা তার অধীনে চাকরিতে নেই, তাই তাদের বেতন প্রদানের দায় তার নয়। অথচ খুলনা সদরসহ ৯ উপজেলার ২১৪ জন কর্মচারী বিগত ১৩ মাস ধরে কোনো বেতন ছাড়াই কাজ করে আসছিলেন।
এই কর্মীরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, ওয়ার্ড, রান্নাঘর, পরিচ্ছন্নতা প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। আন্দোলনরত কর্মীরা অভিযোগ করেন, নতুন অর্থবছরের শুরুতেই মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত চিঠি দেয়ার কথা থাকলেও হিসাবরক্ষক মাহফুজুর রহমান সেটি ইচ্ছাকৃতভাবে আটকে রাখেন। পরবর্তীতে অর্থবছরের শেষে ঠিকাদারদের ডেকে ঘুষ দাবি করেন বলে অভিযোগ। এছাড়া একটি নতুন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন করে পূর্বের কর্মীদের বাদ দিয়ে নতুন জনবল নিয়োগের পাঁয়তারা চলছে বলেও দাবি তাদের।
রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মাজেদুল হক কাওসার বলেন, ‘সিভিল সার্জনের পাঠানো চিঠি অনুযায়ী এখন আমাদের এখানে কোনও কর্মচারী নেই। ক্লিনার না থাকায় চিকিৎসক ও রোগীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিষয়টি সিভিল সার্জন অফিসে জানানো হবে।’
এ প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজা খানম বলেন, ‘তাদের বেতন প্রাপ্য। বিষয়টি আমি মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের টেন্ডার না হওয়া পর্যন্ত আমি দায় নিচ্ছি না। টেন্ডার হলে আগের কর্মীরাই যেন কাজ পান সে ব্যাপারে আমি সুপারিশ করবো।’
এদিকে ১৩ মাসের বেতন ও পুনঃনিয়োগের দাবিতে বুধবার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারীরা জেলা সিভিল সার্জন অফিসে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। স্বাস্থ্যসেবা খাতে এমন অচলাবস্থার কারণে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় নাগরিক সমাজ। তারা দ্রুত সমস্যার সমাধান চেয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এএজি