Deshdeshantor24com: Bangla news portal

ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

গ্রামবাসীদের কুলদেবতা ভেবে ডাইনোসরের ডিমকে পূজা

গ্রামবাসীদের কুলদেবতা ভেবে ডাইনোসরের ডিমকে পূজা
পাড়ল্যার বাসিন্দা ভেস্তা মান্দোলাই এর সঙ্গে বিএসাইপি-এর ডিরেক্টর ড. মহেশ জি ঠক্কর। ছবি: বিবিসি বাংলা

ভারতের মধ্য প্রদেশের ধার জেলার পাড়ল্যা গ্রামের গ্রামবাসীরা বংশপরম্পরায় কাকর ভৈরবের পুজো করে আসছেন। তাদের বিশ্বাস, শিলাকৃতির কাকর (যার অর্থ জমির সীমানা) ভৈরব (ঈশ্বর) জমি ও গবাদি পশুর রক্ষা করেন এবং দুর্দশা নির্মূল করেন। কিন্তু আদতে যা দেবতা নয়, ছিল ডাইনোসরের ডিম।

ডিম সদৃশ গোলাকৃতি শিলাটি গ্রামবাসী নিজেদের চাষাবাদের জমির সীমানায় রেখে পুজো করতেন। গ্রামবাসী বলছেন, নিয়মিত তারা পুজো দিয়ে আসছিলেন। কোথাও কোথাও কাকর ভৈরবকে ভিলেট বাবা বলেও পুজো করা হতো। কিছুদিন আগেও তারা জানতেন না, এ শিলা আসলে ডাইনোসরের ডিমের জীবাশ্ম।

নর্মদা ভ্যালি অঞ্চলে (ধার জেলা) জীবাশ্ম বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘদিন ধরে খননকাজ করছেন। যেখানে মাঝেমধ্যে ডাইনোসরের ‘নেস্টিং সাইট’, ‘নেস্ট’, তাদের ডিমের জীবাশ্ম, হাঙরের দাঁতের জীবাশ্ম আরও অনেক কিছু পাওয়া যায়। যেখানে এখন পর্যন্ত ২৫৬টি ডাইনোসরের ডিম উদ্ধার হয়েছে।

২০২৩ সালের জুন মাসে, জীবাশ্ম বিশেষজ্ঞ বিশাল ভার্মা এবং তার দল পাড়ল্যা গ্রামে একটি ডাইনোসরের ডিমের জীবাশ্ম আবিষ্কার করেন। তারা এই জীবাশ্মের বৈশিষ্ট্য দেখে বুঝতে পারেন যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। তারা গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদেরকে জানান যে এটি একটি ডাইনোসরের ডিমের জীবাশ্ম।

এই আবিষ্কারের পর গ্রামবাসীরা প্রথমে কিছুটা বিস্মিত এবং হতবাক হয়ে পড়েন। কিন্তু পরে তারা বুঝতে পারেন যে এটি একটি ঐতিহাসিক আবিষ্কার। তারা এই জীবাশ্মের সংরক্ষণে সহযোগিতা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এই ঘটনাটি ভারতীয় ইতিহাস এবং সংস্কৃতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। এটি প্রমাণ করে যে ভারতে ডাইনোসরের উপস্থিতি ছিল। এটি ভারতের প্রাচীন ইতিহাস এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করবে।


এমআইপি

নামাজের সময়সূচী

শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
Masjid
ফজর ৪:৪১
জোহর ১২:০৭
আসর ৪:২৯
মাগরিব ৬:১৪
ইশা ৭:২৮
সূর্যোদয় ৫:৫৬
সূর্যাস্ত ৬:১৪