Deshdeshantor24com: Bangla news portal

ঢাকা শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

চুয়েটে দ্বিতীয় দিনের মত সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের

চুয়েটে দ্বিতীয় দিনের মত সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের
(ছবি সংগৃহিত)

গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাস-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় এখনো দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের পাশাপাশি সড়ক অবরোধ করেন। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে চুয়েট ক্যাম্পাসের সামনের কাপ্তাই সড়কে গাছ ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।  এর ফলে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যানবহন চলাচল বন্ধ থাকে। আটকে পড়েন অসংখ্য যাত্রী।বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবি তুলে ধরেন। এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন বলে জানান।

শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো পলাতক চালক ও তাঁর সহযোগীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা,নিহত শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরনের ব্যবস্থা এবং আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসাধীন সকল খরচ শাহ আমানত বাস কর্তৃপক্ষকে গ্রহণ করতে হবে, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার সহিত ক্যাম্পাসে আধুনিক চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন, আধুনিক সরঞ্জামসহ অ্যাম্বুলেন্স–সুবিধা বৃদ্ধি, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে শাহ আমানত ও এবি ট্র্যাভেলস সহ সকল লোকাল বাস চলাচল বন্ধ করা, রাস্তার মাথা এলাকা থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত চার লেন মহাসড়ক করা, প্রতিটি বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার কাগজপত্র ও চালকদের লাইসেন্স নিয়মিত যাচাই করা, ছাত্রকল্যাণ পরিষদকে জবাবদিহির আওতায় আনা এবং ছাত্র প্রতিনিধিদল গঠন করা।

এসব দাবি লিখিতভাবে না মানা পর্যন্ত চুয়েটের সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম(ক্লাস, পরিক্ষা) স্থগিত থাকবে বলে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন।আন্দোলনের পাশাপাশি আজ দুপুর ১২টায় নিহত শিক্ষার্থীর গায়েবানা জানাজা এবং বেলা তিনটায় শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগরে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন চুয়েটের তিন শিক্ষার্থী। দ্রুতগতির শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস শিক্ষার্থীদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে মারা যান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তওফিক হোসেন। সহপাঠীদের মৃত্যুর সংবাদ শুনার পর গতকাল সন্ধ্যায় ৪টি বাস আটক করেন এবং পরবর্তীতে ৩টি বাস ভাঙচুর এবং ১টি বাসে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ করেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা।


এএজি