Deshdeshantor24com: Bangla news portal

ঢাকা সোমবার, ২০ মে ২০২৪

শিল্পকলায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন

শিল্পকলায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন
রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসবের উদ্বোধন করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী (ছবি সংগৃহিত)

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে  বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন নিয়ে ৩ দিনব্যাপী রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসবের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

বুধবার (৮ মে) বেলা ১১টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসবের উদ্বোধন করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রদীপ প্রজ্বালন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় প্রথম দিনের আয়োজন। এরপর সদ্য প্রয়াত শিল্পী সাদি মহম্মদকে স্মরণ করা হয় যন্ত্রসংগীতের করুণ সুর পরিবেশনার মাধ্যমে।

‘সোনার বাংলার স্বপ্ন ও বাস্তবতা: রবীন্দ্রনাথ থেকে বঙ্গবন্ধু’ প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ এবং বঙ্গবন্ধুর দর্শন একসাথে দেখলে তার কেন্দ্রে বাঙালি জাতিসত্তা , আত্মপরিচয় এবং আত্মমর্যাদা খুঁজে পাই’।

তিনি আরও বলেন, ‘বাঙালির আত্মপরিচয় ও আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠাই ছিল রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধুর মধ্যেকার নিবিড় যোগসূত্র। রবীন্দ্রনাথ বাঙালিকে নিয়ে গেছেন বিশ্ব সভায়, বঙ্গবন্ধুও ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সভায় প্রথম বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতীয় সংগীতরূপে বেছে নিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ রচিত ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’।

স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তীকালে শুধু বঙ্গবন্ধু নয়, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর রবীন্দ্রনাথের দর্শন অনেকটাই বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলেছে।’

তিনি আরও বলেন, বাঙালি কবি এবং বাংলা কবিতা লিখে যিনি বিশ্বকবি হয়েছেন, স্বাধীনতার পর আমরা দেখেছি জাতীয় সংগীতকেও বদলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এমনই এক রবি যে রবির উদয় আছে, কিন্তু অস্ত নেই।

এছাড়াও আলোচনা পর্বে বক্তব্য প্রদান করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ্ আজম এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ।

সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, ‘কবিগুরু মুক্ত চিন্তার পাঠের মাধ্যমে যেভাবে সাহিত্যকে রাঙিয়ে তুলেছেন, তেমনি জাতির পিতার দর্শন, আত্মপরিচয়ের সংগ্রাম আমাদের শক্তি জোগায়। সব পরিস্থিতিতেই বঙ্গবন্ধু ও কবিগুরুকে আমাদের ধারণ করতে হবে।’

আলোচনায় বক্তারা বলেন, ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে আমরা যার কাছে সবচেয়ে বেশি ঋণী তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। শুধু বাংলা সাহিত্যের সমৃদ্ধিই নয়, তার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য বিশ্ব দরবারে পৌঁছেছে।’
এএজি