গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৪২
লেবাননে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও গাজায় হামলায় চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় গাজায় আরও অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গাজার মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। সেন্ট্রাল গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলা বেড়েছে। এ ছাড়া উত্তর ও দক্ষিণে আরও গভীরে ইসরায়েলি ট্যাংক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
এ নিয়ে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ হাজার ৩৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত এক লাখ চার হাজার ৯৩৩ জন। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গত বছরের ৭ অক্টোবরে হামলা চালিয়ে গোষ্ঠীটি প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করেছিল। তাদের মধ্যে যুদ্ধবিরতির অধীনে বেশকিছু জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছর ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। দেশটির অব্যাহত এ হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে অন্তত ১৫ বছর সময় লাগবে। এজন্য প্রতিদিন ১০০টি লরি ব্যবহার করতে হবে।
জাতিসংঘের হিসাবমতে, গাজায় ভবন ধসে এ পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এ ধ্বংসস্তূপগুলো যদি একসঙ্গে এক জায়গায় রাখা যায়, তাহলে তা মিশরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে। এ ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যয় হবে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি)।
ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুসারে, গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়া এক-দশমাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক-তৃতীয়াংশ বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলার জন্য ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন পড়বে।
গাজাভিত্তিক জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘অবকাঠামোর যে পরিমাণ ক্ষতি করা হয়েছে, তা পাগলামির পর্যায়ে পড়ে... দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি ভবনও নেই যেখানে ইসরায়েল হামলা চালায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃত অর্থেই এ অঞ্চলের ভৌগোলিক চিত্র পরিবর্তিত হয়ে গেছে। যেখানে আগে পাহাড় ছিল না, এখন সেখানে পাহাড় হয়ে গেছে। দুই হাজার পাউন্ডের বোমাগুলো আক্ষরিক অর্থেই এ অঞ্চলের মানচিত্র বদলে দিয়েছে।’
কেএ