পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত হলেন সহস্রাধিক বিচারক

সারাদেশের অধস্তন আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ থেকে জেলা জজ পর্যন্ত বিভিন্ন পদমর্যাদার সহস্রাধিক বিচারককে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৪ নভেম্বর) বিকেলে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, ফুলকোর্ট সভায় ৩৪৫ অতিরিক্ত জেলা জজকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার জন্য সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু বেশ কয়েকজন বিচারকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তাধীন থাকায় তাদের পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করা হয়নি। তবে এদের মধ্যে প্রায় তিনশজন বিচারক পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত হয়েছেন বলে সভা সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র আরও জানায়, সভায় ২০৭ যুগ্ম জেলা জজকে অতিরিক্ত জেলা জজ পদে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার জন্য সুপারিশ উত্থাপন করা হয়। এছাড়া মোট ৫টি ব্যাচের ৫৫১ সিনিয়র সহকারী জজকে যুগ্ম জেলা জজ পদে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার সুপারিশ উত্থাপন করা হয়। এ দুটি পদের প্রায় সবাইকেই পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করা হয়েছে। প্যানেলভুক্ত এসব বিচারককে পরবর্তীতে ধাপে ধাপে পদোন্নতি ও পদায়নের জন্য সুপ্রিমকোর্টে প্রস্তাব প্রেরণ করবে আইন মন্ত্রণালয়। এরপর সুপ্রিমকোর্ট তাদের পদোন্নতি ও পদায়নের জন্য সুপারিশ করলে সে অনুযায়ী মন্ত্রণালয় থেকে গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কার্যকর করা হবে।
সূত্র আরও জানায়, আলোচিত রেইনট্রি হোটেলের ধর্ষণ মামলায় আপিল বিভাগের আদেশ থাকা সত্ত্বেও এক আসামিকে জামিন দেওয়ার ঘটনায় বিচারিক ক্ষমতা হারানো জেলা জজ কামরুন্নাহারকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি ফুলকোর্ট সভায় উত্থাপন করা হয়। কিন্তু ফুলকোর্ট সভায় এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে বিষয়টি আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২০টির অধিক অ্যাজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়। তবে, সময় স্বল্পতার কারণে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক ক্যালেন্ডার অনুমোদনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
কেএ