রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা 'পদ্মশ্রী' পদক গ্রহণ করেছেন
উপমহাদেশের খ্যাতিমান রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা 'পদ্মশ্রী' পদক গ্রহণ করেছেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে তিনি এই সম্মাননা গ্রহণ করেন।
রবীন্দ্রসঙ্গীতের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ভারত সরকার তাকে এই সম্মানে ভূষিত করেছে।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা দীর্ঘদিন ধরে রবীন্দ্রসঙ্গীত অনুশীলন করে আসছেন এবং বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অসংখ্য অনুষ্ঠানে পরিবেশনা করেছেন। তিনি তার মূর্মণার মাধ্যমে রবীন্দ্রসঙ্গীতকে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৫ জানুয়ারি ভারত সরকার ২০২৪ সালের পুরস্কারপ্রাপ্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করে। সোমবার বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব সম্মাননা সমাজের নানা ক্ষেত্রে অবদান রাখা ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পদক পান। এছাড়াও তিনি বহু পুরস্কার পেয়েছেন। ‘পদ্মশ্রী’ ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারগুলোর মধ্যে একটি। প্রতি বছর ‘পদ্মবিভূষণ’, ‘পদ্মভূষণ’ এবং ‘পদ্মশ্রী’ নামে তিনটি বিভাগে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
১৯৫৭ সালে রংপুর জেলায় বন্যার জন্ম। চাচা আব্দুল আলীর কাছ থেকে তার প্রাথমিক গানের পাঠ নেন। পরবর্তীকালে এই সংগীত চর্চা সনজিদা খাতুন এবং আতিকুল হকের তত্ত্বাবধানে ঢাকার ছায়ানট এবং বুলবুল একাডেমি অফ ফাইন আর্টস (বাফা) এ অব্যাহত থাকে।
পরে তিনি ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস’ (আইসসিআর) থেকে শান্তি নিকেতনের সঙ্গীত ভবনে পড়ার জন্য বৃত্তি পান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেই এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেন, শৈলজারঞ্জন মজুমদার, শান্তিদেব ঘোষ, গোরা সর্বাধিকারি, মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আশেষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে শিক্ষা নেন।
এমআইপি