Deshdeshantor24com: Bangla news portal

ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুসংহত করতে সবার আচরণ হতে হবে দায়িত্বশীল : ধর্মমন্ত্রী

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুসংহত করতে সবার আচরণ হতে হবে দায়িত্বশীল : ধর্মমন্ত্রী
(ছবি সংগৃহিত)

বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। এই সম্প্রীতিকে সুসংহত করতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন নষ্ট না হয়, এ জন্য সবার আচরণ হতে হবে দায়িত্বশীল বলে করলেন মস্তব্য করলেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ময়মনসিংহের অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে ময়মনসিংহ বিভাগের পুরোহিত ও সেবাইত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। ধর্মীয় ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) অধীনে এ সম্মেলনে বৃহত্তর ময়মনসিংহের সাতটি জেলার পুরোহিত ও সেবাইতরা অংশগ্রহণ করেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্য ছিল একটি শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। সেখানে আইনের শাসন ও মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে, প্রতিষ্ঠিত হবে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য। এ অভিপ্রায় থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধিকার আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলাদেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ একটি রাষ্ট্র। বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা।’

সমাজ গঠনে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সমাজে সব ধর্মের মানুষের কাছেই নিজ নিজ ধর্মের ধর্মীয় নেতাদের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সমাজের অধিকাংশ মানুষ তাদের শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। বিভিন্ন পরামর্শের জন্য তাদের দারস্থ হন, তাদের আদেশ-নির্দেশ মেনে চলেন।’

পুরোহিত ও সেবাইতদের উদ্দেশ্যে ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ ও জাতির উন্নয়নে আপনাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আপনারাই পারেন নিজেদের কমিউনিটির মানুষের মধ্যে সঠিক ধর্মীয় জ্ঞানের প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি তাদের আদর্শ ও নিষ্ঠাবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। আমাদের সমাজে যে সব সামাজিক ব্যাধি রয়েছে তা প্রতিরোধেও আপনারা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।’

মো. ফরিদুল হক খান বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের পুরোহিত ও সেবাইতদের আর্থ-সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা সম্ভব হলে একদিকে যেমন অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে, অন্যদিকে সামাজিক সমতার ক্ষেত্রেও উন্নতি ঘটবে। এছাড়া যথাযথ ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি তাদের মধ্যে দেশপ্রমের বিকাশ ও সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা সম্ভব হলে দেশ ও জনগণের প্রভূত কল্যাণ সাধিত হবে। জাতীয়তা ও ভাতৃত্ববোধ দৃঢ় ও অটুট থাকবে। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বেগবান হবে।’

ধর্মমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজকের এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে পুরোহিত ও সেবাইতদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধন ও ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি হবে। এছাড়া, ভাতাপ্রাপ্ত পুরোহিত ও সেবাইতরা কীভাবে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়েছেন সেই সাফল্যগাঁথাও সবাই জানতে পারবেন। এর মধ্য দিয়ে সবার মধ্যে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হবে। আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যাবো।’

বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, রেঞ্জ ডিআইজি মো. শাহ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী প্রমুখ।
এএজি