Deshdeshantor24com: Bangla news portal

ঢাকা রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

গ্যাস সংকটে চাঁদপুরের বিদ্যুৎকেন্দ্র

গ্যাস সংকটে চাঁদপুরের বিদ্যুৎকেন্দ্র
ছবি সংগৃহিত

চাঁদপুর ১৫০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে নতুন করে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক উৎপাদন। কেবলমাত্র গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকার কারণে ১০০ মেগাওয়াটের ইউনিটে ২০-৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কমে গেছে।

জানা গেছে, উৎপাদন কেন্দ্রের বিকল হয়ে পড়া যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন করা হয় প্রায় সাড়ে তিন মাস আগে। এতে পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত করা হয় মূল ইউনিট। যেখানে রয়েছে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা। কিন্তু নতুন করে সৃষ্টি হয় গ্যাস সংকট। ফলে ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদন।

গ্যাসের চাপ বাড়াতে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড কোম্পানিকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে একদিকে গ্যাস সংকট অন্যদিকে আরেকটি ইউনিট বন্ধ থাকার কারণে দুশ্চিন্তার ভাঁজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।  তবে গ্যাস সংকট দূর এবং বিকল ইউনিট চালু করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের কথা জানান কেন্দ্রটির ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী নূরুল আবছার।

তিনি জানান, প্রথমে গ্যাস বুস্টারে ত্রুটি ধরা পড়ে। তা মেরামতে বিদেশ থেকে যন্ত্রাংশ এনে কাজ করতে করতে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যায়। তারপর ১০০ মেগাওয়াট ইউনিট চালু হলে নতুন করে আবার বেয়ারিং এ ত্রুটি দেখা দেয়। তাও সারিয়ে গত ৩ সপ্তাহ পুরোদমে এই ইউনিট চালু করা হয়। তবে এখন নতুন সমস্যা হচ্ছে, চাহিদামত গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে না। এখানে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ২৮ এমএমসিএফ গ্যাস সরবরাহ করার কথা থাকলেও বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড সরবরাহ করছে ২০-২২ এমএমসিএফ গ্যাস। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক উৎপাদন।

ব্যবস্থাপক আরও জানান, স্ট্রিম টারবাইন ইউনিটও বন্ধ রয়েছে। বিদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আগামী ২ সপ্তাহ পর মেরামতের জন্য কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।  সবকিছু ঠিকঠাক হলে এ ইউনিট থেকে উৎপাদিত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎও জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সবচেয়ে কম খরচে প্রাকৃতিক গ্যাসনির্ভর এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১২ সালের মার্চ মাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে কেন্দ্রটি। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়।


এএজি