আজ থেকে বেড়েছে ট্রেনের ভাড়া
যাত্রীবাহী ট্রেনের রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ফলে ট্রেনের ভাড়া কিছুটা বেড়েছে, যা আজ শনিবার (৪ মে) থেকে কার্যকর হবে।
গত সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবে এখন পর্যন্ত নতুন ভাড়ার হার নির্ধারণ করা হয়নি। চলতি সপ্তাহেই তা চূড়ান্ত হবে বলে জানা গেছে।
টানা চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান জিল্লুল হাকিম। মন্ত্রী হিসেবে যোগদানের পর থেকে তিনি রেলের লোকসান কমানোর কথা বলে আসছিলেন। কীভাবে ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণ করা যায় সে পথে হাঁটছিল মন্ত্রণালয়। শেষ পর্যন্ত রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহারের কৌশলে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে ‘সেকশনাল রেয়াত’ রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, রেয়াত প্রত্যাহারের মাধ্যমে আগামী ৪ মে থেকে ট্রেনের ভাড়া সমন্বয় করা হবে। ভাড়া কী হারে বাড়ছে—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা রেলওয়ের বাণিজ্যিক শাখা নির্ধারণ করবে।
রেলওয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে ১০১-১৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ১৫১-৪০০ কিলোমিটার ২৫ শতাংশ আর ৪০০ কিলোমিটারের বেশি পথ ভ্রমণে ৩০ শতাংশ রেয়াত সুবিধা পান যাত্রীরা। এ সুবিধাটি বাতিল করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি রেলের এ প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী রেলের ভাড়া বাড়ানো হবে বলে কয়েকটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। তখন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম জানিয়েছিলেন ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই। এখন রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহারের মাধ্যমে ঠিকই যাত্রীদের কাঁধে বাড়তি ভাড়া চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফা রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭ থেকে ৯ শতাংশ। এর প্রায় সাত বছর পর ২০২৩ সালের শেষার্ধে রেলওয়ের বিভিন্ন সেতু ও ভায়াডাক্টে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
কেএ