Deshdeshantor24com: Bangla news portal

ঢাকা শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

প্রচন্ড দাবদাহের মধ্যেও অন্যরুপে জাবি

প্রচন্ড দাবদাহের মধ্যেও অন্যরুপে জাবি
ফাইল ছবি

পঞ্জিকার পাতা উল্টায়। সময়ের পরিক্রমায় বসন্তের সুরভিত বাগানে এসে উত্তাপ ছড়াতে থাকে গ্রীষ্ম। তবে এবারের গ্রীষ্মের উত্তাপ এতটাই বেশি যে তা দাবদাহ হয়ে গেছে। কিন্তু এই গ্রীষ্মের দাবদাহে যেন অন্যরুপে হাজির জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাস। 

বাহারি রঙের ফুলে ছেয়ে গেছে সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। টিএসসি থেকে চৌরঙ্গী, বিশমাইল থেকে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে সেন্ট্রাল লাইব্রেরি-প্রতিটি রাস্তায়ই ছেয়ে গেছে দেশি-বিদেশি নানান জাতের ফুল। মূল ফটক দিয়ে ঢুকলে শুরুতেই দেখা মিলবে হালকা বেগুনি রঙের জারুল ফুলে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কৃষ্ণচূড়া, রঙ্গন সহ নানাবিধ গাছে ফুটে আছে নানা রঙের ফুল। পাতাবাহার তার পাতার রঙ ছড়িয়ে যেন নিজের সৌন্দর্য প্রকাশ করছে। বিশ্ববিদ্যলয়ের গাছগুলো যেন তার বিশালতার প্রকাশ করছে নিজের সবুজ শাখা প্রশাখা মেলে ধরে। যা মুহূর্তেই যেন ক্লাসের ক্লান্তি অর্ধেক কমে যায়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মোড়ের গাছের নিচে তৈরি করা টং দোকানগুলো যেন এক চিলতে স্মৃতির আশ্রম। দোকানগুলোতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত ক্লাসের মাঝে গাছের ছায়ায় খুঁজে নেয় এক চিলতে শান্তি। সেই আড্ডায় কখনো কখনো শামিল হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। এ যেন গাছের নিচে গ্রীষ্মের দুপুরের এক মিলন মেলা। 

আবার গ্রীষ্মের দুপুরে শিক্ষার্থীদের জন্য অন্য এক আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে মৌসুমি ফল। প্রতিনিয়ত বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছ থেকে এই কাচা আম পেরে চলছে ব্যাচ ভিত্তিক পিকনিক। ক্লাসের এক ঘেয়েমিতা কাটাতে যেন বিশ্ববিদ্যালয় নিজের প্রাকৃতিক সম্পদকে উজাড় করে দিয়েছে। এক দিকে যখন শিক্ষার্থীরা পিকনিকে ব্যস্ত অন্যদিকে তখন আরেকদল শিক্ষার্থী ব্যস্ত নিজেদের লেকের পানিতে ভিজিয়ে নিতে। লেকের পানিতে চলছে সাতার বা ডুব প্রতিযোগিতা। খেলার পরে লেকের পানিতে না নামলে যেন দিনটাই মিথ্যা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন বলেন, ‘গ্রীষ্মকালে তপ্ত রোদে ক্লাস করা কঠিন। কিন্তু ক্লাস শেষে যখন গাছের নিচে কিছু সময়ের জন্য বসে থাকি তখন এক অন্য রকম অনুভূতি কাজ করে। ফুলে ঘেরা রাস্তা দিয়ে হাটতে হাটতে এই তপ্ত রোদে হলে ফিরতেও ক্লান্ত লাগে না। এক মনোরম পরিবেশ দেখতে দেখতে সময় কেটে যায় রাস্তা।’ 

লেখা: আকিব সুলতান অর্নব 
শিক্ষার্থী,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

কেএ