গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
গুচ্ছভুক্ত ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ‘বি’ (মানবিক) ইউনিটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে পাশ করেছে ৩৬.৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। এ ছাড়া ‘এ’ ইউনিটের আর্কিটেকচার (ড্রয়িং) পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার (৫ মে) জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির সভায় এ ফলাফল উপস্থাপনের পর প্রকাশ করা হয়। ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১ পরীক্ষার্থী আবেদন করেন। এর মধ্যে ৮৫ হাজার ৫৪৮ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষায় ৩১ হাজার ৮১ শিক্ষার্থী ৩০ নম্বরের উপরে পেয়ে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জন করেছে। সে হিসাবে পাসের হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ভর্তির জন্য গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে ‘বি’ ইউনিটভুক্ত ৪ হাজার ৫১৫ আসন রয়েছে।
ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, পরীক্ষায় বিভিন্ন কারণে ০.০৩ শতাংশ (২৩ জন) শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র বাতিল হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আজ রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে জিএসটির ওয়েবসাইট (https://gstadmission.ac.bd/) থেকে ফলাফল জানতে পারবে।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ‘বি’ ইউনিটে সর্বোচ্চ ৭৬ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়ে প্রথম হন রাজধানীর বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী রুকাইয়া ফেরদৌস লামিয়া। তার রোল নং ৩১৮৬৩০ এবং তার কেন্দ্র ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপকেন্দ্র ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ।
এদিকে গুচ্ছভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের আর্কিটেকচার (ড্রয়িং) পরীক্ষার ফলাফলও ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ড্রয়িং (ব্যবহারিক) পরীক্ষার মোট নম্বরের ৩০ শতাংশকে পাস হিসেবে বিবেচনা করে ৮৭৭ জনকে উত্তীর্ণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। পাসকৃত শিক্ষার্থীরা রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের আগেই জিএসটির ওয়েবসাইটে তাদের ফলাফল দেখতে পাবেন। গুচ্ছভুক্ত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচারে ভর্তির জন্য ১৬৫টি সিট রয়েছে।
আগামী ১০ মে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন বাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীরা বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। তবে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা আগেই কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত শুক্রবার (৩ মে) সুষ্ঠু পরিবেশে দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য গুচ্ছ পদ্ধতিতে বি ইউনিটের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোয় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ছিল গড়ে ৯০ শতাংশের মতো।
কেএ