Deshdeshantor24com: Bangla news portal

ঢাকা শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

শিরোনাম :

রাসুল সাঃ কে সৃষ্টি না করলে জগতের কোন কিছুই সৃষ্টি হতনা

রাসুল সাঃ কে সৃষ্টি না করলে জগতের কোন কিছুই সৃষ্টি হতনা
প্রতীকী ছবি

মহান ¯্রষ্টা ও প্রতিপালক আল্লাহতায়ালা সৃষ্টির সূচনার পূর্বে এক ও অদ্বিতীয় সত্তা বিরাজমান ছিলেন। তখন তাঁর মাঝে স্বীয় পরিচয় প্রকাশে অভিলাষ জাগরিত হওয়ার পর সৃষ্টিজগৎ সৃজন করলেন। এই প্রসঙ্গে হাদিসে কুদছিতে মহান আল্লাহতায়ালা নিজেই ইরশাদ করেন, “কুšদ কানজাম মুখফিয়ান ফা আহবাবতু আনউরাফা ফা খালাকতুল খালকা লিউরাফা” আমি ছিলাম গুপ্ত ধনাগার- নিজকে প্রকাশ ভালবাসলাম, তাই সৃষ্টি জগত সৃজন করলাম। 

নূরে মহাম্মদী হল সৃষ্টি জগতের প্রাণ তাঁর সৃষ্টির মাধ্যমেই মহান আল্লাহতায়ালার সৃষ্টির প্রক্রিয়া করেন, তিনি পরম সৃষ্ট্যা ও প্রতিপালক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। মহান আল্লাহতায়ালা সর্বপ্রথম সৃষ্টির শুরুতেই নূরে মহাম্মদীকে সৃষ্টি করেন। “হে হাবিব আমি আপনাকে সৃষ্টি না করলে কোন কিছুই সৃষ্টি করতাম না (সিররুল আসরার পৃষ্টা-৭১) নূরে মোহাম্মদী যে সর্বপ্রথম সৃষ্টি এই প্রসঙ্গে হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, হযরত রাসূল সাঃ ফরমানঃ “আউয়ালু মা খালাকল্লাহু নূরী-আনা মিন নূরিল্লাহ্্ ওয়া কুল্লু শাইয়্যিন মিন নূরী” -আল্লাহ্ সর্বপ্রথম আমার নূরকে সৃষ্টি িকরেছেন আমি আল্লাহ্্র নূর হতে তার সমস্ত সৃষ্টিবšদআমার নূর হতে (সিররুল আসরার পৃষ্টা-৩)। সৃষ্টির কর্মধারা হাদিস শরীফে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ্্তায়ালা সর্বপ্রথম নূরে মোহাম্মদীকে সৃষ্টি করেছেন অতপরঃ নূরে মোহাম্মদীকে চার ভাগে বিভক্ত করে প্রথম ভাগ দিয়ে আরশ, দ্বিতীয় ভাগ দিয়ে কলম, তৃতীয় ভাগ দিয়ে লওহে মাহফুজ তৈরি করে, চতুর্থ ভাগ কে আবার চার ভাগে বিভক্ত করে, তার প্রথম ভাগ দিয়ে আরশ বহনকারী ফেরেস্তা, দ্বিতীয় ভাগ দিয়ে ভুমন্ডল, তৃতীয় ভাগ দিয়ে বেহেস্ত ও দোযখ তৈরি করে, চতুর্থ ভাগকে আবার চার ভাগে বিভক্ত করে-এর প্রথম ভাগ দিয়ে মু’মেনের চোখের জোতি, দ্বিতীয় ভাগ দিয়ে মু’মেনের অন্তরের জোতি, তৃতীয় ভাগ দিয়ে তাওহীদের জোতী সৃষ্টি করেন এবং চতুর্থ ভাগ দিয়ে অন্যান্য সকল সৃষ্টি রাজি করেছেন (কাছাছুন আম্বিয়া)। মহান আল্লাহ্্তায়ালা এমনি ভাবে ছয়টি “নূরে মোহাম্মদী” হতে সমস্ত সৃষ্টিরাজি সৃজন করেছেন। ঐ নূরে মোহাম্মদী প্রতিটি সৃষ্টির মাঝে বিদ্যমান রয়েছেন বলেই তাঁর মাধ্যমে মহান আল্লাহ্্য়ালা রহমত প্রতিটি সৃষ্টির মাঝে প্রবাহিত হ”েছ। মাহান আল্লাহ্্তায়ালা তাঁর (রাসূল সাঃ) সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, “ওমা আরসালনাকা ইল্লা রাহমাতাল্লিল আলামিন” (হে হাবিব) আমি আপনাকে বিশ^ জাহানের রহমত হিসাবে প্রেরন করেছি (সূরা আম্বিয়া আয়াত ১২৭)। সমগ্র সৃষ্টি জগতের পরম প্রভু আল্লাহ্্তায়ালার রাসূল সাঃ এর মাধ্যমে অগনিত সৃষ্টিরাজিকে সজীব, সতেজ ও প্রাণবন্ত করে রাখার জন্য অবিরাম রহমত বিতরন করে যা”েছন। এই রহমতের পরশ পেয়েই মানুষ, জ¦ীন, পশু-পাখি, কীট-পতঙ্গ, গাছ-পালা তরু-লতা, আলো-বাতাস, পানি-মাটি সহ যাবতীয় সৃষ্টিরাজি এমকি বিশ^জাহানের প্রতিটি অনু-পরমানু আপন গুনাবলীতে বিভুষিত হয়ে আছে। মহান আল্লাহ্্তায়ালা নিজের সম্মন্ধে এরশাদ করেন, “রাব্বুল আলামিন-আল্লাহ্্ হলেন মহাবিশে^র প্রভু” হযরত রাঃ সম্পর্কে এরশাদ করেন, রাহ্্মাতুল্লি আলামিন-তিনি হলেন মহা বিশে^র রহমত। রাসুল সাঃ ভালবাসার 
মাধ্যমে আল্লাহ্্কে পাওয়া যাবে।

লেখক: বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান খসরু


কেএ

নামাজের সময়সূচী

শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪
Masjid
ফজর ৪:৪১
জোহর ১২:০৭
আসর ৪:২৯
মাগরিব ৬:১৪
ইশা ৭:২৮
সূর্যোদয় ৫:৫৬
সূর্যাস্ত ৬:১৪