Deshdeshantor24com: Bangla news portal

ঢাকা বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

তওবা কবুলের জন্য যে দোয়াগুলো পড়বেন

তওবা কবুলের জন্য যে দোয়াগুলো পড়বেন
ছবি: সংগৃহীত

মুমিনের একমাত্র চাওয়া মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি। গুনাহমুক্ত জীবনে রয়েছে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি। বিভিন্ন কারণে গুনাহ হয়ে যায়। যথাযথ তওবা করার মাধ্যমে গুনাহমুক্ত হওয়া যায়। এর মাধ্যমেই মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা সম্ভব।

তওবা আরবি শব্দ। এর অর্থ ফিরে আসা, প্রত্যাবর্তন করা। ইসলামি পরিভাষায়, পাপের কাজ ছেড়ে দিয়ে মহান আল্লাহর রাস্তায় ফিরে আসাকে তওবা বলে। যথাযথ তওবা করার মাধ্যমে গুনাহমুক্ত হওয়া যায়। 

মানবজীবনে তওবার গুরুত্ব অপরিসীম। মহান আল্লাহ বলেন,

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا تُوۡبُوۡۤا اِلَی اللّٰهِ تَوۡبَۃً نَّصُوۡحًا অর্থ: হে মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর কাছে তওবা কর, খাঁটি তওবা। (সুরা তাহরিম: ৮)

আরেক আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন,

اِنَّ اللّٰهَ یُحِبُّ التَّوَّابِیۡنَ وَ یُحِبُّ الۡمُتَطَهِّرِیۡنَ অর্থ: নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং পবিত্রতা অর্জনকারীকে ভালোবাসেন। (সুরা বাকারা: ২২২)

ভুল বুঝতে পারামাত্রই তওবা করতে হবে। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তার বান্দার তওবা গ্রহণ করেন, যতক্ষণ-না সে মৃত্যুযন্ত্রণায় গরগর করে। (তিরমিজি)

তওবার দোয়া

أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ وَأَتوبُ إِلَيْهِ উচ্চারণ: আসতাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি। (অর্থ: আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি এবং তার নিকট তওবা করছি।) হজরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, আমি নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেয়ে আর কাউকে এটি অধিক পরিমাণে পড়তে দেখিনি। (ইবনু হিব্বান: ৯২৮)

أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الْعَظِيمَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىَّ الْقَيُّومَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ উচ্চারণ: আসতাগফিরুল্লাহাল আজিমাল্লাজি লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি। (অর্থ: মহান আল্লাহর কাছে আমি ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, যিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং আমি তার কাছে তওবা করি।) হজরত জায়দ (রা.) নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি এ দোয়া পড়ে, তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়, যদিও সে রণক্ষেত্র থেকে পলায়ন করে থাকে। (তিরমিজি: ৩৫৭৭)

ﺭَﺏِّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲْ ﻭَﺗُﺐْ ﻋَﻠَﻲَّ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃﻧْﺖَ ﺍﻟﺘَّﻮَّﺍﺏُ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢُ উচ্চারণ: ‘রাব্বিগফিরলি ওয়া তুব ‘আলাইয়া, ইন্নাকা আনতাত তাওয়াবুর রাহীম’ অর্থ: ‘(হে আমার) রব! আমাকে মাফ করুন; আমার তওবা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি তওবা কবুলকারী পরম দয়াময়।’ হজরত ইবনু উমার রা. বলেন, আমরা গুণে দেখতাম যে, নবী কারিম সা. একই মজলিসে দোয়াটি ১০০ বার পর্যন্ত পাঠ করছেন।’ (তিরমিজি ৩৪৩৪, আবু দাউদ ১৫১৬)

اَللّٰهمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمًا كثِيرًا، وَلَا يَغْفِرُ الذُّنوْبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ، وَارْحَمْنِيْ، إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْم উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী জলামতুন নাফসী জুলমান কাছীরা, ওয়ালা ইয়াগফিরুজ জুনূবা ইল্লা আংতা, ফা-গফিরলী মাগফিরাতান মিন ইনদিকা ওয়ারহামনি, ইন্নাকা আংতাল গাফুরুর রাহীম।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি (গুনাহ করার মাধ্যমে) নিজের উপর অনেক জুলুম করেছি; তুমি ছাড়া অন্য কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না।

 
এএজি