Deshdeshantor24com: Bangla news portal

ঢাকা শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনে বশেমুরবিপ্রবিতে আনন্দ মিছিল 

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনে বশেমুরবিপ্রবিতে আনন্দ মিছিল 
ছবি: ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনে বশেমুরবিপ্রবিতে আনন্দ মিছিল 

গত ২৩ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপনের পর, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিল করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল চত্বর থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি বিজয় দিবস হল, স্বাধীনতা দিবস হল, শেখ রাসেল হল, লিপুস ক্যান্টিন এবং নিউমার্কেটসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে মেইন গেইটে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন, যেমন "আজকের এই দিনে, আবরার তোমায় মনে পড়ে", "হৈ হৈ রৈ রৈ, ছাত্রলীগ গেলি কই", "মুজিববাদ মুরতাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ", "ছাত্রলীগ জঙ্গি, শেখ হাসিনা সঙ্গী", এবং "আমার সোনার বাংলায়, ছাত্রলীগের ঠাঁই নাই"।

শিক্ষার্থীরা জুলাই মাসের ছাত্র আন্দোলনে যারা বাধা দিয়েছে, হামলা করেছে এবং হুমকি দিয়েছে, তাদের দ্রুত বিচার ও শাস্তির দাবি জানান। এছাড়াও, ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। মিছিল শেষে "জয় বাংলা" চত্বরকে "মুজাহিদ চত্বর" এবং "শেখ হাসিনা চত্বর"কে "মইনুল চত্বর" হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

ফার্মেসি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওবায়দুল ইসলাম বলেন, "আপনারা জানেন, ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নোমনিকে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হাবিবুরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সিলেট এমসি কলেজে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ করেছে ছাত্রলীগ। এমনকি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ধর্ষণের সেঞ্চুরি উদযাপন করেছে। তাই আমরা আইন অনুযায়ী ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি জানাই।"

পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী আবু দারদা বলেন, "জুলাই-আগস্টে গোপালগঞ্জের শহীদ মুজাহিদ ও শহীদ মইনুলসহ ৬ জন শহীদ হন। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে 'জয় বাংলা' চত্বরকে 'মুজাহিদ চত্বর' এবং 'শেখ হাসিনা চত্বর'কে 'মইনুল চত্বর' হিসেবে ঘোষণা করছি।"


টিএ