Deshdeshantor24com: Bangla news portal

ঢাকা রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

মহানন্দার দুই পাড়ে হরিজন সম্প্রদায়ের ছট পূজা

মহানন্দার দুই পাড়ে হরিজন সম্প্রদায়ের ছট পূজা
ছবি: সংগৃহীত

দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্ত নদী মহানন্দা নদীতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় পালিত হলো সনাতন সম্প্রদায়ের হরিজনদের ছট পূজা।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঈদগাহ বস্তি এলাকার মহানন্দা নদীর তীরে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সূর্যোদয়ের সময় স্নান, পূজা-অর্চনা এবং প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় তিন দিনের পূজার আনুষ্ঠানিকতা। মনোবাসনা পূর্ণ, আপদ-বিপদ দূরীকরণ, বিভিন্ন মানত পূরণে এই তিন সম্প্রদায়ের মানুষ ছট ব্রতের মাধ্যমে সূর্য নারায়ণের পূজা করেন তারা। এ পূজায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের হাজার হাজার পুণ্যার্থীর সমাগম ঘটে।

জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের আগে ও পরে বাংলাদেশ-ভারত দুদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা একসঙ্গে উদযাপন করতো ছট পূজা। মাঝখানে সীমান্ত আইনের কারণে আটকে যায় একসঙ্গে উভয়ের দেশের নাগরীকদের এ ছট পূজা পালন।

এবার বাংলাদেশ-ভারতকে ভাগ করা মহানন্দা নদীর তীরে দুদেশের নাগরিকরা পালন করছে এ উৎসব। সীমান্ত আইন মেনে বিজিবির পাহারায় তেঁতুলিয়ার সদরের ইউনিয়নের ঈদগাহ বস্তি সীমান্তের মহানন্দা নদীতে অনুষ্ঠিত হয় ছট পূজা। দিনভর চলে পূজার প্রস্তুতি। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা।

শান্তি লাল ও নন্দিনী লাল বলেন, সূর্যকে পূজা করা হয় বলে এটিকে সূর্য পূজা বলা হয়। এ পূজায় আমরা খুব আনন্দ করি। এতে তিন দিন উপবাস থাকতে হয়। এখানে ভারতের লোকজন পূজা করে, আমরাও তাদের সঙ্গে এ উৎসবে অংশ নিয়ে আনন্দ উপভোগ করি।

তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের সাহেবজোত এলাকার কৃষাণ লাল জানান, আমার বাসা তেঁতুলিয়ায়। গত ২০-২২ বছর ধরে সূর্য পূজা করে আসছি। আমরা এটাকে ছট পূজা বলে থাকি। ভারত ও বাংলাদেশ মিলেমিশে সুষ্ঠুভাবে মহানন্দা নদীর দুপাড়ে এ পূজা করে যাচ্ছি। বর্তমান বাংলাদেশ সরকারকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমরা যেন আরও সুযোগ-সুবিধা পাই। যাতে পরে আরও ভালোভাবে করতে পারি।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল জিয়াউল হক জানান, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ এবং সেই সাক্ষ্যবহন করে আজকের এ পূজা। যেখানে বাংলাদেশের হরিজন পল্লীর সদস্যরা সূর্য পূজা (ছট পূজা) করেছে এবং অপর দিকে ভারতের যারা এ সম্প্রদায়ের সদস্য আছেন তারাও করেছেন। তবে মহাপরিচালক বিজিবির এক অনন্য নির্দেশ হচ্ছে বিজিবি হবে সীমান্তের নিরাপত্তার ও আস্থার প্রতীক। সেই ধারাবাহিকতায় বিজিবি সার্বক্ষণিক তার দায়িত্ব পালন করছে। সে যে সম্প্রদায় বা ধর্মেরই হোক সীমান্তের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছি।

 
কেএ

নামাজের সময়সূচী

রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
Masjid
ফজর ৪:৪১
জোহর ১২:০৭
আসর ৪:২৯
মাগরিব ৬:১৪
ইশা ৭:২৮
সূর্যোদয় ৫:৫৬
সূর্যাস্ত ৬:১৪