দ্বিতীয় দফায় জাতীয় দলের কোচ হওয়ার কারণ জানালেন সালাউদ্দিন
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে দ্বিতীয় দফায় যুক্ত হয়েছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। প্রথম দফায় তৈরি করেছিলেন সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহদের মতো তারকা ক্রিকেটারদের। এবারেও তেমন কিছুই করতে চান দেশসেরা এই কোচ।
রোববার (১০ নভেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে তাইজুল ইসলামকে অনুশীলন করাচ্ছিলেন সালাউদ্দিন। এরপর সেখানেই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী কোচ।
এদিন দ্বিতীয় দফায় বিসিবির চাকরি নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে জবাবে সালাউদ্দিন বলেন, আমার মনে হয়, এখন সঠিক সময়। আমি হয়তো কোচিং আর বেশি দিন না–ও করতে পারি। হয়তো আর চার–পাঁচ বছর করব। আমার মনে হয়, এখনই সঠিক সময়। আমার দীর্ঘ কোচিং ক্যারিয়ারের শেষে আমি যদি আরও একটা জেনারেশনকে হেল্প করতে পারি, তাহলে সেটা আমার নিজের কাছেও ভালো লাগবে।
‘কারণ, আপনি শুধু জেনে গেলেন, কিন্তু কোনো প্রদীপ জ্বালালেন না, সেটা তো ঠিক হবে না। এই কাজটা যদি ভালোভাবে করতে পারি, কিছুটা হেল্প হলেও আমি মনে করি ভালো হবে।’
বিপিএলে টানা সাফল্যের পর সালাউদ্দিনকে জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন দেশের ক্রিকেট অনুরাগী মানুষরা। তাই তাদের প্রত্যাশার প্রতিদানও দিতে চান সালাউদ্দিন।
তিনি বলেন, অনুভূতি তো অবশ্যই থাকবে। হয়তো বাসায় রোমাঞ্চটা একটু বেশি। চেষ্টা করব যেন মানুষ আমাকে ভালোবাসে; আমি দেখলাম শেষ কিছুদিনে, সেটার প্রতিদান দেওয়াও নৈতিক দায়িত্ব হয়ে গেছে।
বিসিবির সঙ্গে এবার আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত চুক্তি হয়েছে সালাউদ্দিনের। তবে সব ঠিক থাকলে সালাউদ্দিনের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে যেতে পারে বিসিবি। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগেই জাতীয় দলে প্রভাব ফেলতে চান তিনি।
সালাউদ্দিনের ভাষ্য, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত সময় যতটুকুই হোক। আমি যদি কারও জীবনে সামান্যতম প্রভাব রাখতে পারি, সেটাই আমার সার্থকতা। আমি হয়তো নাটকীয়ভাবে (ড্রামাটিকালি) অনেক চেঞ্জ করতে পারব না। কিন্তু আমার একটা কথা, একটা কিছুতে তার জীবনে কিছু পরিবর্তন হয়, তাহলে সেটা আমার অনেক বড় সার্থকতা হবে।
এর আগে বেশ কয়েকবার জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার প্রশ্নে অনাগ্রহ দেখিয়েছেন সালাউদ্দিন। এবার কেন সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসলেন? এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বললেন, আমি সব সময় বলেছি, আমাকে একটু সময় দিতে হবে। আমি আসতে চাইনি, তা নয়। কারণ, আমি দু-তিনটা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। সেটা তো আমি একেবারে ফেলে আসতে পারব না।
‘যেহেতু ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে আমার অনেক আগে থেকে শুরু হয়েছে, তিন মাস আগে থেকে কথা চলছিল, এর মধ্যে আমি এগুলো সেটল করতে পেরেছি বলে আসতে পেরেছি।’
নিজের দায়িত্ব নিয়ে সালাউদ্দিন বলেন, যেহেতু আমি সহকারী কোচ, যেহেতু হেডকোচ আছে এখানে, তার দর্শনটা আমাকে আসলে...সে কীভাবে টিমটা চালাচ্ছে, তাকে সাহায্য করা। এর সঙ্গে খেলোয়াড়দের সাহায্য করা...যতটুকু পারি। আমার ভূমিকাটা হয়তো ভিন্ন হবে আগেরবারের তুলনায়।’
তিনি আরও বলেন, চেষ্টা করব আমাদের ছেলেরা যেন আরেকটু আত্মবিশ্বাসী হয়। সেই সঙ্গে আমাদের যে বিদেশি কোচরা আছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগটা যেন আরেকটু ভালো সেদিকে যায় সেই লক্ষ রাখব।
এএজি