Deshdeshantor24com: Bangla news portal

ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

বশেমুরবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টার: প্যারাসিটামলেই সীমাবদ্ধ চিকিৎসা সেবা

বশেমুরবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টার: প্যারাসিটামলেই সীমাবদ্ধ চিকিৎসা সেবা
ছবি: সংগৃহীত

জ্বরের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত প্যারাসিটামল দিয়েই চলছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) মেডিকেল সেন্টার।

নিয়মিত জরুরি চিকিৎসা সেবার অভাবে নানা ভোগান্তিতে পড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। প্রয়োজনীয় ওষুধ না পাওয়ায় বাহিরের ফার্মেসি থেকে বেশি দামে ওষুধ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।  

সরেজমিনে দেখা যায়, সমস্যাগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা চিকিৎসার জন্য মেডিকেল সেন্টারে গেলে তাদের হাতে একটি প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং প্যারাসিটামল, এলাট্রল ও অ্যান্টাসিড সরবরাহ করে বাকিটা বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনতে বলা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা এর কারণ জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষ জানায়, অন্য কোনো ওষুধ স্টকে নেই।

এছাড়া নিয়মিত অফিসে পাওয়া যায় না সিনিয়র মেডিকেল অফিসারকে। তবে প্রতি সেমিস্টারে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চিকিৎসা ফি বাবদ ২০০ টাকা ঠিকই নেওয়া হচ্ছে।

মেডিকেল সেন্টারের সেবার মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জাকিউর রহমান সরকার বলেন,  “ক্যাম্পাসে প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী। প্রতি সেমিস্টারে ২০০ টাকা ফি দিয়ে থাকি। ক্যাম্পাস লাইফ প্রায় ছয় বছর হতে চলেছে, কিন্তু আমাদের মেডিকেল সেন্টারে পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ থাকে না। যেকোনো রোগের জন্য মেডিকেলে গেলে হাতে প্যারাসিটামল, এলাট্রল, অ্যান্টাসিড বা ফ্যামোট্যাক ধরিয়ে দেয়। যদি ঠান্ডার জন্য মন্টিলুকাস্ট চাওয়া হয়, তারা বলে এটা শেষ হয়ে গেছে। ফেক্সোফেনাডিন পর্যন্ত মেলে না। আমরা নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থী। মেডিকেল থেকে যদি ন্যূনতম মৌলিক চিকিৎসা না পাই, তাহলে এই সেন্টার দিয়ে লাভ কী? প্রশাসনের কাছে আবেদন, শিক্ষার্থীদের মৌলিক চিকিৎসার ব্যবস্থা দ্রুত নিশ্চিত করুন।” 

এ বিষয়ে সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. অভিষেক বিশ্বাস বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯ ধরনের ওষুধ দেওয়া হয়, যা বাংলাদেশের যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেশি। কারো ঠান্ডা বা জ্বর হলে এলাট্রল বা প্যারাসিটামলের বাইরে কিছু দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রেসক্রিপশন করা হয়। দামী অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথার ওষুধ ও ইনজেকশনও দেওয়া হয়। তবে কিছু ওষুধ মাঝে মাঝে শেষ হয়ে যায়। গত জুন মাসে নেওয়া ওষুধের বিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজও পরিশোধ করেনি।” 

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. মোরাদ হোসেন বলেন,  “আমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব এবং পরে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না, তা দেখব।”  

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হোসেন উদ্দিন শেখরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 
এএজি

নামাজের সময়সূচী

শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
Masjid
ফজর ৪:৪১
জোহর ১২:০৭
আসর ৪:২৯
মাগরিব ৬:১৪
ইশা ৭:২৮
সূর্যোদয় ৫:৫৬
সূর্যাস্ত ৬:১৪

আরও পড়ুন