আজ কক্সবাজারে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়
রমজান মাসে কক্সবাজার অনেকটা পর্যটকশূন্য ছিল। তবে ঈদ এবং বৈশাখের লম্বা ছুটিতে কক্সবাজারে আসতে শুরু করেছে পর্যটকরা। ঈদের দিন তুলনামূলক পর্যটক কম হলেও দ্বিতীয় দিন দর্শনার্থীদের পদচারণায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে পর্যটন নগরী। দীর্ঘ একমাস পর হাসি ফুটেছে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের মুখে।
দর্শনার্থীদের খরা কেটেছ। বান্দরবানের সহিংসতার কারণে অনেক পর্যটক এখন কক্সবাজারমুখী। পর্যটন ব্যবসায়ীরা অন্তত ৫ লাখ পর্যটক সমাগমের আশা করছেন দেশের সবচেয়ে বড় পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারে।
এবারের ঈদের সাথে যোগ হয়েছে বৈশাখী উৎসব।
সব মিলিয়ে লম্বা ছুটিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের গন্তব্য পর্যটনের এই শহরে। অনেক পর্যটক এসেছেন ঈদ উদযাপনে। পাহাড় সমুদ্র আর দর্শনীয় স্থান দেখে মুগ্ধ পর্যটকরা। সাগরে সমুদ্রস্নানের পাশাপাশি মেতেছেন সৈকতের বালিয়াড়িতে নাগরদোলা, বিচ বাইক ও ঘোড়ার পিঠে চড়ার আনন্দে।
আবার কেউ কেউ ওয়াটার বাইক ও বিচ বাইকে সৈকত দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। আবার কেউ কিটকটে (চেয়ার-ছাতা) গা এলিয়ে দিগন্ত ছোঁয়া নীলজল রাশিতে মজে আছেন। কেউ কেউ বালুচরে দাঁড়িয়ে প্রিয়জনদের এসব আনন্দঘন মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করে রাখছেন।
কুমিল্লা থেকে আসা পর্যটক আফরোজা আঁখি জানান, সুযোগ পেলেই কক্সবাজার আসা হয়। এবার ঈদের ছুটিতে আসা হলো।
খুব আনন্দেই কাটছে সময়।
মিরপুর থেকে আসা কহিনুর আক্তার জানান, প্রকৃতির কাছে, সাগরের কাছে না আসলে মানুষ উদার হতে পারে না। সাগর আমাকে খুব টানে, তাই সুযোগ পেলেই সাগরের কাছে ছুটে আসা।
কক্সবাজারে পর্যটক থাকার মতো হোটেল-মোটেল গেস্টহাউজ আছে প্রায় ৫০০। এসব হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট ও রেস্তোরাঁগুলোকে সাজানো হয়েছে নতুনরূপে। ঈদ এবং বৈশাখ উপলক্ষে নানান আয়োজন রেখেছে তারকামানের হোটেলগুলোতে।
পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে ও হয়রানি রোধে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা প্রশাসন। তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এবার পর্যটকরা জেলার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে আনন্দ উপভোগের সুযোগ পাবে বলে জানান ট্যুুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।
পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট মাসুদ রানা বলেন, হট লাইনে আমাদের নম্বর দেওয়া হয়েছে। কেউ কোনো ধরনের হয়রানির তথ্য জানালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া পর্যটন স্পটে নতুন নতুন ফটো বুথের মাধ্যমে নানা আকর্ষণীয় কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
টিএ