বাকৃবিতে প্রশাসনিক কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলন

সরকার আমাদের দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এ সময় সকল ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। সরকার আমাদের দাবি মেনে নিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করা হবে।

প্রত্যয় স্কিম ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অভিন্ন নীতিমালা প্রত্যাহারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ ও কারিগরি কর্মচারী সমিতি এবং ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতির প্রায় ৫ শতাধিক কর্মচারী। ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি শেষে করিডোর থেকে আব্দুল জব্বার মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন কর্মচারীরা। মিছিল শেষে আব্দুল জব্বার মোড়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর নামে স্লোগান দিয়ে কুশপুত্তলিকা দাহ করেন তাঁরা। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল বন্ধ রাখে পরিবহন শাখা। ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা বিরাজ করছে।

৩য় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, 'ফেডারেশনের নির্দেশনায় প্রত্যয় স্কিম বাতিল ও অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের দাবিতে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, কারিগরি সমিতি ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির উদ্যোগে আমরা নতুন আরেকটি দাবি জানিয়েছি। দাবিটি হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা শতভাগ ২য় ধাপে পদোন্নতি পেলেও কর্মচারীদের কেবল ৩৩শতাংশ এই সুবিধা পেয়ে থাকেন, যা চরম বৈষম্য। কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও শতভাগ ২য় ধাপের পদোন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'প্রত্যয় স্কিম বাতিল করা হলেও আমাদের এই অভ্যন্তরীণ বৈষম্য দূর না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবেই। ২০১৫ সালের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন কর্মচারী নিয়োগ না দেওয়ায় ৫ জন কর্মচারীর কাজ একজনকে করতে হচ্ছে। ফলে আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। নিয়মিত কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলেই সাপ্তাহিক দুই দিন ছুটি পেলেও নিরাপত্তা কর্মীরা একদিন ছুটি কাটান। আলাদা কোনো সুবিধাও দেওয়া হয় না তাঁদেরকে। পাশাপাশি বেতন কাঠামো ও পদোন্নতির ক্ষেত্রেঈ বৈষম্য বিদ্যমান রয়েছে।

অন্যদিকে প্রত্যয় স্কিম বাতিল, অভিন্ন নীতিমালা প্রত্যাহার ও বেতন গ্রেড সংক্রান্ত বৈষম্য দূর করতে পূর্নদিবস কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদ।