Deshdeshantor24com: Bangla news portal

ঢাকা রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

কোটা আন্দোলনে উত্তাল নোবিপ্রবি

কোটা আন্দোলনে উত্তাল নোবিপ্রবি
ছবি সংগৃহিত

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা বাতিল আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশে উত্তাল হয়ে ওঠেছে ক্যাম্পাস।

কোটাবিরোধী বিক্ষোভে নেমেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার (৬ জুলাই) সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা বাতিলের স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সরকারি চাকরিতে কোটা-পদ্ধতি বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। তারপর বিক্ষোভ মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা সোনাপুর-সুবর্ণচর রাস্তা অবরোধ করে। এ সময় তারা ‘সারা বাংলায় খবর দে,কোটা প্রথার কবর দে’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘কোটা না মেধা,মেধা মেধা’,‘একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠো আরেকবার’এর মতো বিভিন্ন আগুনঝরা স্লোগানে ক্যাম্পাস মুখরিত করে তোলেন।

আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা ওশানোগ্রাফি বিভাগের শিক্ষার্থী ময়ুরী খাতুন বলেন, “আজকে আমরা এখানে সংঘটিত হয়েছি কোটা সংস্কারের দাবিতে। বিভিন্ন প্রকার কোটা সৃষ্টির মাধ্যমে সরকার একটা নির্দিষ্ট শ্রেনীকে সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। এখানে আমাদের নারীদের কোন কোটার দরকার নেই। আমরা চাই সমঅধিকারের যুগে পুরুষদের সাথে মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে নিজেদের প্রমান করতে।আমরা কোন প্রকার কোটা চাচ্ছি না, শুধুমাত্র সমাজের সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য কোটা দেওয়া হোক।”   

ফিশারিজ এন্ড মেরিন সাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থী শরীফুল ইসলাম বলেন, “আজকে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও কোটা নামক বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হচ্ছে। চাকরির ক্ষেত্রে শুধু কোটা যোগ্যতার মাপকাঠি হতে পারে না।”           

শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী জকি হোসেন বলেন,“স্বাধীন সোনার বাংলা গঠনে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনা বলেছেন মেধার বিকল্প নেই। মেধাবীরাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।সেই মেধাবীদের জন্য স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও কোটা নামক শব্দ শুনতে হয়।মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেক ছেলে-মেয়ে চাকরির বাজারে যেতে না পেরে আত্মহত্যা করে। তাই এই সোনার বাংলায় কোটার সংস্কার প্রয়োজন।”   

সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক জামিল জানান,“২০১৮ সালের আগে কোটা প্রথা প্রযোজ্য  ছিলো যা পরবর্তীতে স্থগিত করা এবং সম্প্রতি কোটা প্রথা পুনর্বহাল করার কারণে আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি। কোটা যে কারনে প্রয়োজন হতো তা হচ্ছে,সমাজে সুবিধাবঞ্চিত যারা আছে তাদের সুবিধা দেয়ার জন্য কোটা প্রয়োজন ছিলো।কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে সুবিধাবঞ্চিত যারা আছে তাদের পাশাপাশি আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে কোটাকে এমন ভাবে প্রচার করা হচ্ছে বা আমাদের বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা  প্রতিযোগিতায়  পিছিয়ে পড়ছে।” 

 
এএজি

নামাজের সময়সূচী

রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪
Masjid
ফজর ৪:৪১
জোহর ১২:০৭
আসর ৪:২৯
মাগরিব ৬:১৪
ইশা ৭:২৮
সূর্যোদয় ৫:৫৬
সূর্যাস্ত ৬:১৪