Deshdeshantor24com: Bangla news portal

ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি ডাইনিং কর্মচারীদের

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি ডাইনিং কর্মচারীদের
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বারংবার আশ্বাস, আন্দোলন আর সংকটে জীবন চলছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অস্থায়ী ডাইনিং কর্মচারীদের৷ নামেমাত্র বেতন, সুযোগ-সুবিধার অভাব এবং কর্ম পরিস্থিতির দুর্দশা তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। নিজেদের অধিকার রক্ষায় 'ডাইনিং সংস্করণ বিপ্লবে'র ডাক দিয়েছেন তারা৷ 

নিজেদের দুর্দশার বর্ণনা দিতে গিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ডাইনিং কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক, আ.ফ.ম. কামালউদ্দিন হলের ডাইনিং বয় শাকিল ইসলাম বলেন, "৫২ বছর ধরে পার্মানেন্ট করার কথা বলা হলেও, প্রশাসন তা বাস্তবায়ন করেনি। এই সেক্টরে নতুন করে নিয়োগও হয় না, আবার পুরোনোদের স্থায়ীও করা হয় না।" শাকিল আরও জানান, তিনি কম্পিউটার টাইপিংয়ে দক্ষ, এবং তার দক্ষতা পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত হলেও প্রশাসন তার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।শাকিল ইসলাম আরও বলেন, "আমার মূল বেতন ৪,০৮০ টাকা, যা মেডিকেল ভাতাসহ ৪,৫০০ টাকায় পরিণত হয়। এই অল্প বেতনে জীবনযাত্রার মান নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলছি।"

 আল-বেরুনি হলের ডাইনিং কর্মচারী মনির হোসেন বলেন, "আমি ডাইনিংয়ের পাশাপাশি ঝাড়ুদার, দারোয়ান ও মালির কাজও করেছি, তারপরও আমাকে স্থায়ী নিয়োগ দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে।আমরা যে পদে নিয়োগ পেতে যোগ্য, সেদিকেই স্থায়ী নিয়োগ চাচ্ছি।"

আফম কামাল উদ্দিন হলের কর্মচারী জাফর উদ্দিন বলেন, " আমি ১৯৮৯ সালে কাজে যোগদান করেছি। এখন আমার বেতন ইনক্রিমেন্ট সহ ৮,০০০ টাকা। তবে বর্তমানে ইনক্রিমেন্ট বন্ধ এবং এই অল্প বেতনে আমার তিন মেয়ে ও পিতামাতাকে নিয়ে সংসার চালানো অনেক কঠিন হয়ে পরেছে।"

জানা যায়, এর আগে প্রশাসনের অনেক ব্যক্তি স্থায়ী নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা। অস্থায়ী কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো ছাত্র সংসদ বা ছাত্র প্রতিনিধিদের মাধ্যমে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা প্রদান করতে হবে, ৪,০৮০ টাকা বেতনের সংস্কার এবং ১,৭০০ টাকা সর্বনিম্ন ইনক্রিমেন্টসহ বেতন বৃদ্ধি, লোকবল পর্যাপ্তকরণ; প্রতিশ্রুত সর্বনিম্ন আটজন ডাইনিং বয় নিয়োগ,৩৩% চাকরি স্থায়ীকরণ ব্যবস্থা পুনর্বহাল অথবা এই সেক্টরে স্থায়ীকরণ নিশ্চিতকরণ,পেনশন ব্যবস্থা প্রদান অথবা এককালীন ভাতা পেনশন সমতুল্য হারে বৃদ্ধি, কল্যাণ তহবিল সংস্কার ও প্রভিডেন্ট ফান্ড প্রদান।

 


এএজি

আরও পড়ুন