চাঁদনী-বাইজিদের নেতৃত্বে কুবির পিস অ্যান্ড সেইফটি ক্যাফে
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নারী শিক্ষার্থীদের সামাজিক মূল্যবোধ, শান্তি, নিরাপত্তা এবং অধিকার বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে “পিস অ্যান্ড সেইফটি ক্যাফে" নামে নতুন একটি সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সংগঠনের মডারেটর লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস এ সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেছেন।
এতে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী চাঁদনী আক্তার সভাপতি এবং লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ নাজিরুল হাসান বাইজিদ সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা দু'জনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এছাড়াও ব্যবস্থাপনা বিভাগের রোম্মানা হোসেন সহ-সভাপতি, লোক প্রশাসন বিভাগের মোহন চৌধুরী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, লোক প্রশাসন বিভাগের মো. মামুন সাংগঠনিক সম্পাদক, লোক প্রশাসন বিভাগের মোসা. তানিয়া আক্তার অর্থ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এছাড়াও লোক প্রশাসন বিভাগের ১৬ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী খাদিজা খাতুন রূপা এবং ইংরেজি বিভাগের ১৭ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী লাবীবা রশিদ রাফা কার্যনির্বাহী সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করবেন। এ কমিটির বিভিন্ন পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আগামী একবছর তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে।
সংগঠনের মডারেটর ড. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, 'এ সংগঠন তৈরির পেছনের কারণ হলো—নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ শিক্ষা জীবন নিশ্চিত করা এবং তাদের অধিকার আদায়ে কাজ করা। নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তুলতে এ সংগঠন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
সভাপতি চাঁদনী আক্তার বলেন, 'এ সংগঠনটের মাধ্যমে আমরা নারী শিক্ষার্থীদের যে কোন সমস্যায় পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো। তাদেরকে নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তোলা এবং আত্মনির্ভরশীল হাওয়ায় উদ্বুদ্ধ করবো। আমার বিশ্বাস "পিস অ্যান্ড সেইফটি ক্যাফে" নারী শিক্ষার্থীদের জন্য আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করবে।'
সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজিরুল হাসান বাইজিদ বলেন, 'আমরা নারী শিক্ষার্থীদের শারীরিক-মানসিক এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সহায়তা করবো। এই সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি ও সেমিনার আয়োজন করার মাধ্যমে নারী শিক্ষার্থীদের অধিকার সচেতন করে তোলায় কাজ করবে।'
উল্লেখ্য, সংগঠনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের অধিকার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি , নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ নারী শিক্ষার্থীদের যে কোনো সমস্যার ক্ষেত্রে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এএজি