আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রতিবাদে বশেমুরবিপ্রবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষের সময় হামলা চালিয়ে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। এ সময় তারা ঘটনায় জড়িত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীদের গ্রেপ্তার ও ইসকনকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।
আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ২টায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের হল গেট, নিউ মার্কেট, জয় বাংলা চত্বর, প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে একাডেমিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয় এবং সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় শিক্ষার্থীদের ‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাও রুখে দাও’, ‘উগ্রবাদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না', ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘সন্ত্রাসীদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘ফ্যাসিবাদের আরেক নাম, ইসকন', ‘সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
মানববন্ধনে ফার্মেসি বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওবায়দুল ইসলাম বলেন, "হিন্দু আর ইসকন এক হতে পারে না। হিন্দুদের সঙ্গে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। তবে প্রশ্ন হলো, ইসকনের সঙ্গে মুসলমানদের কেন সমস্যা হচ্ছে? তাই ইসকনকে ক্যাম্পাস থেকে নিষিদ্ধ করা উচিত। ক্যাম্পাসে যদি কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়, মুসলিম জনতা তা মেনে নেবে না।"
তিনি আরও বলেন, "যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত, তাদের অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে। ইসকন যেহেতু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত, তাই তাদের ক্যাম্পাস থেকে নিষিদ্ধ করা উচিত। চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।"
এসময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের পাশাপাশি বাংলাদেশে ইসকনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের দাবি জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণের জন্য জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ সময় তার অনুসারীদের হামলায় ওই আইনজীবী নিহত হন।
এএজি