লেবাননে বিস্ফোরণে নিহত ২০, আহত ৪৫০
লেবাননে ডিভাইস বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এতে অন্তত ২০জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত সাড়ে চার শতাধিক মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
লেবাবনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে দ্বিতীয় দফায় তারবিহীন যোগাযোগের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এতে অন্তত ২০ জন নিহত ও সাড়ে চার শতাধিক আহত হয়েছেন।
রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ উপত্যকা, বেকা উপত্যকা এবং দক্ষিণ লেবাননে প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত ওয়াকিটকিতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এ সব এলাকাকে হিজবুল্লাহর শক্তিশালী ঘাঁটি হিসাবে দেখা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার হিজবুল্লাহ সদস্যদের পেজার বিস্ফোরণে ১২ জন নিহতের ঘটনায় কয়েকজনের দাফনের সময় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। হিজবুল্লাহ এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। অন্যদিকে ইসরায়েল এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট যুদ্ধের নতুন পর্ব ঘোষণার পর এ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে উত্তরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি বিভাগকে পুনরায় মোতায়েন করেছিলেন তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস নাটকীয়ভাবে ঝুঁকি গুরুতর হওয়ার বিষয়ে আশঙ্কা করে সব পক্ষকে সংযমী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার লেবাননে পেজার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ সময় অন্তত ৯ সদস্য নিহত হন। এরপর নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, মার্কিন কর্মকর্তারা এ অভিযানের বিষয়ে ব্রিফ করেছেন। তারা বলেছেন, লেবাননে হিজবুল্লাহ সদস্যদের উপর মঙ্গলবার হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী তাইওয়ানের তৈরি পেজারে বিস্ফোরক উপাদান লুকিয়ে রেখেছিল।
কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হিজবুল্লাহ তাইওয়ানের কোম্পানি গোল্ড অ্যাপোলো থেকে পেজার কিনেছিল, কিন্তু লেবাননে পৌঁছানোর আগে তাদের সঙ্গে টেম্পার করা হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ পেজার ছিল কোম্পানির এপি৯২৪ মডেলের। তবে এর মধ্যে তিনটি গোল্ড অ্যাপোলো মডেলও শিপমেন্টে ছিল।
দুটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিটি পেজারে ব্যাটারির পাশে এক থেকে দুই আউন্স (প্রায় ৩০ থেকে ৬০ গ্রাম) বিস্ফোরক উপাদান স্থাপন করা হয়েছিল। এছাড়া দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে একটি ডেটোনেটরও যুক্ত করা হয়েছিল।
কেএ