'সামরিক বাহিনী সংস্কার না করলে সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে না'

শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া কনভেনশন হ লের ঈগল হলে 'বৈষম্যমুক্ত সশস্ত্র বাহিনী বাংলাদেশ ২.০ বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় রুপরেখা' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি৷

সাইফুল্লাহ বলেন, আমি নটরডেম থেকে পাস করার পর জাপানের একটি ইউনিভার্সিটিতে স্কলারশিপ পেয়েছিলাম ; কিন্তু আমি সেখানে যাইনি৷ আমি চেয়েছিলাম দেশের মানুষের সেবা করতে৷ আমরা দেশের মানুষকে ভালোবাসি এবং সুখী, সমৃদ্ধ বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই৷

সেনাপ্রধানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমার অনুরোধ বর্তমান সেনাপ্রধান আমাদের কথা শুনুন৷ কতিপয় অফিসার তাদের ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আমাদের ওপর যে বৈষম্য করেছে সেগুলো শুনুন৷ আমাদের নিয়ে একটি সুন্দর সেনাবাহিনী আপনি গড়তে পারবেন৷ আমাদের বিশ্বাস আপনি আমাদের প্রতি ন্যায় বিচার করবেন৷

তিনি বলেন, সামরিক বাহিনীর জন্ম হয়েছে দেশের সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য৷ সেই  সেনাবাহিনীর সংস্কার সবার আগে প্রয়োজন৷ সামরিক বাহিনী সংস্কার না করলে সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে না৷

সেনাবাহিনী প্রধানের প্রশংসা করে তিনি বলেন,  আমরা বিশ্বাস করি আমাদের সেনাবাহিনী প্রধান অত্যন্ত ন্যায়পরায়ণ এবং দয়ালু,  উনি জুনিয়র অফিসারদের মনের ভাষা বুঝেন। সেনাপ্রধান  এই সপ্তাহের মধ্যে আমাদের সাথে দেখা করবেন এবং আমাদের কথা শুনে উনি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন৷

সংবাদ সম্মেলনে বিগত সরকারের আমলে সামরিক কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক কারণে বরখাস্ত ও তাদের ওপর নিপীড়নের প্রতিবাদ জানিয়ে বঞ্চিত সামরিক কর্মকর্তাদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান নাসির (অবঃ)৷ বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ হাসান,  লেঃ কর্নেল (অব) হাসিনুর রাহমান, বীর প্রতীক লেঃ কর্নেল (অব) শাহির, কমান্ডার মোহাম্মদ শাহরিয়ার আকন (অবঃ), কমান্ডার নেসার আহমেদ জুলিয়াস (অবঃ), মেজর আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (অবঃ), লেফটেন্যান্ট সাইফুল্লাহ খান (অবঃ), ক্যাপ্টেন হেফাজ উদ্দিন (অবঃ)৷ এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ছাত্র সমন্নয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম এবং রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ৷

 
কেএ