দারিদ্র্য দূরীকরণ ও নারী ক্ষমতায়নে কাজ করছে সৌহার্দ্য তিন প্লাস প্রকল্প
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) 'কৃষি পথগুলোকে শক্তিশালীকরণ: সৌহার্দ্য তিন প্লাসের অধীনে কৃষি সহায়তা ব্যবস্থা' শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে কেয়ার বাংলাদেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে কেয়ার বাংলাদেশের সৌহার্দ্য তিন প্লাস প্রোগ্রামের এএসটিএল কে এম আর এল ফয়সাল কবির বলেন, "সৌহার্দ্য তিন প্লাস প্রোগ্রাম হাওর ও চর অঞ্চলের ৮টি জেলায় দরিদ্রতা হ্রাস, নারী ক্ষমতায়ন এবং আবহাওয়া সহিষ্ণু চাষাবাদ ও মৎস্য চাষের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে।" প্রোগ্রামের অধীনে সরাসরি কৃষকদের জীবনমান উন্নয়নে আধুনিক প্রযুক্তি ও চাষাবাদ পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো হচ্ছে।
প্রোগ্রামের বিশেষ লক্ষ্য হলো নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা। এ বিষয়ে ড. ফয়সাল কবির বলেন, "নারীদের ক্ষমতায়নকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে, যাতে তারা পরিবার ও সমাজে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন।"
অনুষ্ঠানে কেয়ার বাংলাদেশের অ্যাক্টিং চিফ অফ পার্টি আব্দুল মান্নান মজুমদার উদ্বোধনী বক্তব্যে জানান, সৌহার্দ্য তিন প্লাসের বিভিন্ন কার্যক্রম নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে কৃষকরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসলের ফলন বৃদ্ধি এবং মৎস্য উৎপাদনে উন্নতি করতে পারছেন।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ড. এম. হাম্মাদুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ফারুক, পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রহমান, এগ্রোনমি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রমিজ উদ্দিন, ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাতেমা হক শিখা এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ। আলোচনায় বক্তারা বলেন, দীর্ঘমেয়াদে প্রোগ্রামটি হাওর ও চর অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাকৃবি কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. জান্নাতুন নাহার মুক্তা।অনুষ্ঠানের আর্থিক সহায়তা করেছে ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)।
টিএ
