১১ টেস্ট পর ঘরের মাঠে জয়ের স্বাদ পেল পাকিস্তান
অবশেষে ঘরের মাঠে টেস্টে জয়ের স্বাদ পেল পাকিস্তান। ইংল্যান্ডকে ১৫২ রানে হারিয়ে সাড়ে তিন বছর এবং ১১ টেস্ট পর এই জয়ের দেখা পেল তারা। মুলতানের এই টেস্ট পাকিস্তানের জন্য সিরিজ বাচানোর লড়াই। নোমান আলীর স্পিনে এই লড়াইয়ে জিতে গেল পাকিস্তান।
পাকিস্তান দেশের মাটিতে সর্বশেষ টেস্ট জিতেছিল ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এরপর টানা ১১ টেস্টে জয় দেখেননি শান মাসুদ–বাবর আজমরা। তিন বছর আট মাসের অপেক্ষা শেষের সম্ভাবনা গতকাল মুলতানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে পাকিস্তান।
জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ২৬১ রান, পাকিস্তানের ৮ উইকেট। হাতে ছিল এই টেস্টের দুই দিন। কিন্তু চতুর্থ ইনিংসে ২৯৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা ইংল্যান্ডকে ১৪৪ রানে থামিয়েছে পাকিস্তান। আজ দিনের দ্বিতীয় ওভারেই ওলি পোপকে ফিরিয়ে সেই জয়ের পথে এগিয়ে দেওয়ার কাজটি শুরু করেন সাজিদ খান। এরপর বাকি কাজটা একা নোমানেরই।
মুলতানের এই পিচে প্রথম টেস্টে পাঁচ দিন খেলা হয়েছে বলে এটি ছিল কার্যত নবম দিনের উইকেট। স্পিনাররা সহায়তা পাচ্ছিলেন আগের দিন থেকেই। ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানেরা গতকালের মতো আজও টিকে থাকা ও রান তোলার জন্য সুইপ–রিভার্স সুইপেই ভর করেছেন বেশি। এই সুইপ–রিভার্স সুইপ খেলেই ৩৬ বলে ৩৭ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। তবে নোমানকে এগিয়ে এসে ওড়াতে গিয়ে হয়েছেন স্টাম্প। আটে নামা ব্রাইডন কার্স মেরেছেন তিন ছক্কা, কিন্তু রক্ষণাত্মক খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন স্লিপে।
স্টোকস, কার্স থেকে শুরু বশির—চতুর্থ দিনে ইংল্যান্ডের পতন হওয়া ৮ উইকেটের সাতটিই নিয়েছেন নোমান। সব মিলিয়ে বাঁ হাতি এ স্পিনার দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছেন ৪৬ রানে ৮ উইকেট। ইংল্যান্ডের ইনিংস থেমেছে ৩৩.৩ ওভারেই। বহু আকাঙ্খার এই জয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৮টিসহ ১১ উইকেটই নোমানের। তবে ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়া ডানহাতি অফ স্পিনার সাজিদ খানের হাতে। দ্বিতীয় ইনিংসেও ২ উইকেট নেন এই স্পিনার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ৩৬৬ ও ২২১ (সালমান ৬৩, শাকিল ৩১, কামরান ২৬, রিজওয়ান ২৩; বশির ৪/৬৬, লিচ ৩/৬৭, কার্স ২/২৯)।
ইংল্যান্ড: ২৯১ ও ১৪৪ (স্টোকস ৩৬, কার্স ২৭, পোপ ২২; নোমান ৮/৪৬, সাজিদ ২/৯৩)।
ফল: পাকিস্তান ১৫২ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সাজিদ খান।
সিরিজ: তিন টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টি শেষে ১–১ সমতা
এএজি