নোবিপ্রবিতে হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি ফিলিস্তিন প্রতিরোধ আন্দোলন (হামাস) রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে শহীদ মিনারের সামনে এই জানাজার আয়োজন করে ২৪'র মঞ্চ নোবিপ্রবি।জানাজার নামাজে ইমামতি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএমএস বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ।
জানাজার নামাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দীনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় দখলদার ইসরায়েলের জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও স্বাধীন ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা ‘ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ, ইসরায়েল নিপাত যাক’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
এসময় জানাজায় অংশ নিয়ে ২৪'র মঞ্চের আহ্বায়ক নোবিপ্রবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদ বলেন, মুসলিম বিশ্বের অন্যতম সিপাহসালার ছিলেন হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। দখলদার ইসরায়েলের বাহিনী তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। ইসরায়েল যদি মনে করে হত্যা করে তারা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন প্রতিরোধ করবে তাহলে তারা ভুল। পুরো মুসলিম উম্মাহ ফিলিস্তিনের পক্ষে আছে।
জানাজায় অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন,গত ১৬ ই অক্টোবর জায়নবাদী সন্ত্রাসীদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করেন এই মহান বীর। যার আকাঙ্ক্ষা ছিল বায়তুল মোকাদ্দস বা মসজিদ আল আকসা কে পুনরায় জায়নবাদীদের দখল মুক্ত করা। ইয়াহিয়া সিনওয়ার তার রবের সাথে কৃত ওয়াদা রক্ষা করে শাহাদাতের মর্যাদা নিয়ে আমাদের মধ্যে থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেছেন মহান রবের কাছে। আমরা আশাবাদী যে, একদিন এই ফিলিস্তিন দখলদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্তি পাবে এবং এই মুক্তির পথ ইয়াহিয়া সিনওয়ার এর মতো বীরেরা সুগম করে দিয়ে গেছেন। আমরা ফিলিস্তিনের নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এবং ইয়াহিয়া সিনওয়ার এর আত্মার মাগফেরাত কামনা করার জন্য গায়েবানা জানাযায় অংশ নিয়েছি। আমরা আশাবাদী মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতের সুউচ্চ মাকাম দান করবেন।
উল্লেখ্য,গত ১৭ অক্টোবর রাতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার।
কেএ