পবিপ্রবিতে র্যাগিং এ জিরো টলারেন্স নীতি
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নবীন শিক্ষার্থীদের আগমন উপলক্ষে উক্ত জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ২০২৩-২৪ সেশনের জিএসটি গুচ্ছভুক্ত শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা, প্রক্টর কঠোর অবস্থানের কথা ব্যক্ত করেন।
পবিপ্রবি'র প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান বলেন," র্যাগিং এর বিষয়ে প্রশাসন জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। ক্যাম্পাস হবে নতুন শিক্ষার্থীসহ সকলের জন্য নিরাপদ। কোনো অঘটন ঘটলো দায়ীদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। এক্ষেত্রে সাহস করে অন্তত অভিযোগটুকু প্রশাসনকে জানাতে হবে। ঘটনার বিচার নিশ্চিতের দায়িত্ব প্রশাসনের। আমরা বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই।
ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান বলেন, র্যাগিং নামক যে কালচার চালু আছে তা আমরা আর চাই না।১৫ বছর ধরে নবাগত শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ট্রমাটাইজেশন পর্যন্ত সৃষ্টি হয়। আমি বিশ্বাস করি,আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের যে সকল শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্সপ্রাপ্ত হয় তাঁরা অবশ্যই মেধাবী এবং তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গর্ববোধ করে।কিন্তু র্যাগিং কালচার তাদের বিপর্যস্ত করে ফেলে।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উপাচার্যের নির্দেশনায় র্যাগিং নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবে।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে বলবো তাঁরা যেন নবাগত শিক্ষার্থীদের নিজের পরিবারের সদস্য হিসেবে গ্রহণ করেন।আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে চাই, র্যাগিংকে না বলুন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং নামক কালচারের ফলে বুয়েটের মত জায়গায় আবরার ফাহাদ শহীদ হয়েছেন।আমরা চাই না বাংলাদেশের আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা প্রতিষ্ঠানে এই র্যাগিং নামক কালচারের পুনরাবৃত্তি ঘটুক।পবিপ্রবি পরিবারের পক্ষ থেকে নবাগত শিক্ষার্থীদের জানাচ্ছি এবং পবিপ্রবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করছি।
টিএ