তুরস্কে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদ্যাপন
যথাযথ তাৎপর্যপূর্ণ এবং উৎসবমূখর পরিবেশে বাংলাদেশ দূতাবাস, আংকারা-তে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৪ উদযাপন করা হলো।
আজ ২১ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে স্থানীয় আংকারাস্থ হিলটন এসএ হোটেলে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের চীফ অব তার্কিশ জেনারেল ষ্টাফ, জেনারেল মেতিন গুরাক।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তার্কিশ সামরিক বাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়াও, উক্ত অনুষ্ঠানে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব এম আমানুল হক, তুরস্কে কর্মরত বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাবৃন্দ, তুরস্ক সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, কূটনৈতিক কোরের সদস্যবৃন্দ, প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সদস্যগণ, বাংলাদেশ দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারিগণ এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ ও তুরস্কের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অতঃপর অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইফতেকুর রহমান, এনডিসি, পিএসসি তাঁর সূচনা বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং জুলাই-আগস্ট ২০২৪ বিপ্লবে আত্মউৎসর্গকারী ও আহত ছাত্র-জনতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপণ করতঃ স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়াও, তিনি উক্ত দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করেন।
তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব এম আমানুল হক তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশ-তুরস্কের দ্বি-পাক্ষিক এবং সামরিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বাংলাদেশের গৌরবজ্জ্বল স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং স্বাধীন দেশের অভ্যুদয়ে সশস্ত্র বাহিনীর অতুলনীয় অবদানের বিষয়ে আলোকপাত করেন। জুলাই-আগস্ট ২০২৪ বিপ্লবের শহীদ এবং আহত ছাত্র-জনতার প্রতি তিনি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর আওতায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন। অতপরঃ তিনি বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের চলমান দ্বি-পাক্ষিক সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স¤পর্কের বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন। তিনি তুরস্ক ও বাংলাদেশ ভ্রাতৃপ্রতিম দু’দেশের সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেনারেল মেতিন গুরাক তাঁর বক্তব্যে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে অভিনন্দন জ্ঞাপন পূর্বক বাংলাদেশের সাথে তুরস্কের সামরিক সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করেন ও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অগ্রযাত্রায় তুরস্কের সামি রক সহযোগিতা অব্যহত থাকার বিষয়টি ব্যক্ত করেন।
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দকে সশস্ত্র বাহিনীর উপর নির্মিত একটি ডকুমেন্টারী প্রদর্শন করা হয়। এরপর প্রধান অতিথি, মান্যবর রাষ্ট্রদূত মহোদয় এবং প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে একটি কেক কাটেন এবং আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য আয়োজিত নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ভূঁয়সী প্রশংসা করেন।
এএজি
