ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান
কারাগারে থেকে বিরাট বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান। তার এ আহ্বানে রাজপথে নেমে এসেছে হাজারও নেতাকর্মী। গণহারে গ্রেপ্তারের পরও ঠেকানো যায়নি এ স্রোত। উত্তাল হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দেশটিতে একজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইমরান খানের দল ও দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার রাজধানী ইসলামাবাদের বাইরে কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন মানুষ।
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভের ঘোষণার পর কর্তৃপক্ষ দুদিন ধরে রাজধানী ইসলামাবাদে লকডাউন ঘোষণা করেছে। এছাড়া তাদের প্রবেশ ঠেকাতে মহাসড়কগুলোতে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে।
প্রদেশের পুলিশের প্রধান উসমান আনওয়ার বলেন. পুলিশের এক কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া অন্তত ১১৯ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এমনকি বিক্ষোভকারীরা ২টি পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। ইসলামাবাদের বাইরে এবং পাঞ্জাবে এসব ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে দুই পুলিশ কর্তকর্তার অবস্থা গুরুতর। অন্যদিকে ইমরান খানের দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংঘর্ষে তাদের অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
তারা জানিয়েছে, ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি ও তার অন্যতম সহযোগী আলি আমিন গন্দপুর এ বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সোমবার রাতে এটি প্রায় ইসলামাবাদের অভ্যন্তরে চলে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দাঙ্গা পুলিশ এবং আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ইসলামাবাদের সড়কে মোতায়েন রয়েছেন। এছাড়া বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে শিপিং কনটেইনার দিয়ে সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তাগুলো অবরোধ করতে শিপিং কনটেইনার ব্যবহার করেছে।
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের শহরে প্রবেশ ঠেকাতে পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে শহর ও টার্মিনালের মধ্যে সব গণপরিবহনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ জিও নিউজকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ইমরান খানের দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চেয়েছে। সরকার এ বিষয়ে আন্তরিক। তবে এটি এখনো কোনো কাজে দেয়নি।
কেএ